শরীয়তপুরের নড়িয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে হোম কোয়ারেণ্টাইনে থাকা এক নারীর মৃত্যু এবং একই উপজেলার করোনা উপসর্গ নিয়ে এক যুবকের মৃত্য হয়েছে। এ দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় শরীয়তপুরের ডামুড্যা উজেলার পৌরসভার ৩নং ওর্য়াডের রোকেয়া বেগম (৩৫) নামে এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর ফলে এ পর্যন্ত জেলায় ৭ জন করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় গত ৪ এপ্রিলে ঢাকার কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে এক বৃদ্ধ মারা যায়। তার বাড়ি নড়িয়া উপজেলায়। এছাড়া জেলায় ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশিতে আরও ৪জনের মৃত্য হয়। তাদের প্রত্যেকের রির্পোট নেগেটিভ এসেছে বলে সিভিল সার্জন নিশ্চিত করেন।
গতকাল শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মশুরা গ্রামে নিজ বাড়িতে ৫৩ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ওই নারীর ভাইয়ের(নৈশ প্রহরীর) মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে নিহতের বাড়ির তিনটি পরিবারের ১২ জন সদস্য হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এদিকে, ভাই মারা যাওয়ার তিন দিনের মাথায় কোয়ারেন্টিনে থাকা বোনের মৃত্যু হওয়ার পর থেকে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এছাড়া, গতকাল শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে একই উপজেলার চামটা ইউনিয়নে ২০ বছরের এক যুবকের করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। নিহতের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ঘটনায় ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্ত্রী রূপা রায় জানান, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে আমাদের মেডিকেল টিম ও উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা গেছেন। এছাড়া ওই পরিবারের বাকী সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহতের মরদের গঠিত কমিটি দ্বারা দাফন করা হবে। করোনা প্রতিরোধে গেল বুধবার সন্ধ্যা থেকে শরীয়তপুর জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষনা করেন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসক।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ