শেরপুর জেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে ৮ জনই স্বাস্থ্য বিভাগের। আক্রান্ত হয়েছে জেলার সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারি। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শেরপুরের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল, নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জন অফিস পুরোপুরি লকডাউনে চলে যায়।
এতে জেলা হাসপাতালের সকল সেবা বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি বিভাগে লাগানো হয় তালা। অতি জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে আসা রোগীরা পড়ে চরম ভোগান্তিতে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেন জেলার স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি স্থানীয় এমপি হুইপ আতিউর রহমান আতিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল ও প্রশাসন। অবশেষে রাত ২টার দিকে সিভিল সার্জন নিজে এসে খুব সীমিত আকারে জরুরি বিভাগ খুলে দেন।
লকডাউন করার পর সারা হাসপাতাল আজ সকাল থেকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়। প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বহিঃর্বিভাগ ও অন্যান্য সেবা অতি সীমিত পরিসরে দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ খাইরুল কবির সুমন জানিয়েছেন, হাসপাতালের কর্মচারি করোনায় আক্রান্ত হলে সারা হাসপাতাল লকডাউনে চলে যায়। সঙ্গত কারণেই মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক এবং রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা