রংপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। রবিবার দুপুরে রংপুর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন নবনির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হয়। এই হাসপাতালে রংপুর বিভাগের আট জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই বিভাগে এ পর্যন্ত ৪৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন সুস্থ হয়েছে। বাকি ৪৩ জনকে বাড়িতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড এবং চিকিৎসকদের জন্য দুটি ও নার্সদের জন্য একটি আবাসিক কোয়ার্টার নির্ধারণ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে এখানে ৬৪ জন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
সম্প্রতি মিঠাপুকুরে একজন ডাক্তার করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তাকে দিয়েই এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। ১০টি ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে নতুন এ আইসোলেশন হাসপাতালে। প্রথম ধাপে ১০টি আইসিইউ বেড ও ১০টি ভেন্টিলেটর দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে তা ৫০ এ উন্নীত করা হবে। হাসপাতালে পৃথক পৃথক কয়েকটি জোন খোলা হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার বিপ্লব সরকার, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নূর-উন-নবী লাইজু, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় প্রমুখ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান বলেন, আমরা রংপুর বিভাগের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, আয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানে চিকিৎসার কোন ত্রুটি হবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল