বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবদান অনস্বীকার্য। জাতি তার অবদান কখনো ভুলবে না। রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করার পর পল্লীবন্ধু এরশাদ ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলাকে নতুন করে সাজিয়েছিলেন। ঘুমন্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের চাবুক মেরে জাগ্রত করে তুলেছিলেন তিনি। আজও বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তরে তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ জে কে হল মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির ভাষণে একথা বলেন তিনি।
কাজী মামুন বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতা হস্তান্তরের পর যারা ক্ষমতা এসেছে, অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো পাল্লা দিয়ে এরশাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, দেশ গঠনে তার অবদানকে অস্বীকার করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু বাঙালি জাতির হৃদয় থেকে এরা এরশাদের নাম মুছতে পারেনি। তাই আজও বিশ্ব রোড, বিজয় সরণিসহ দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যখনি জনতার চোখে পড়ে তখনই তাদের এই উন্নয়নের রূপকার পল্লীবন্ধু এরশাদের কথা মনে পড়ে। তিলোক্তমা ঢাকা নগরীর রূপকার পল্লীবন্ধু এরশাদ নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা এরশাদের কর্মীরা তার আদর্শ বাস্তবায়ন করে নিজেরা সংগঠিত হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় জাতীয় পার্টি অধিষ্ঠিত করার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়ে পাকিস্তান দূতাবাসের পক্ষ থেকে পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান পাকিস্তান দূতাবাসের কালচারাল সেক্রেটারি আনিল আজগার কালহোরো।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, বাংলাদেশ নিকাহ রেজিস্টার কল্যাণ সমিতির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা ড. গোলাম কিবরিয়া, জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা হাফসা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের, সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, এডভোকেট আবু সালেহ চৌধুরী, শামসুল আলম, সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাতুল ইসলাম পাভেল প্রমুখ। স্মরণ সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন পীরজাদা মাওলানা আলমগীর হোসেন যুক্তিবাদী প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত