প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সর্বপ্রথম থাবা বসায় বিশ্ব বাণিজ্যের আধার চীনে। দেশটির মধ্যে হুবেই প্রদেশের উহান থেকেই সূচনা হয় এই ভাইরাসে। কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে ওই প্রদেশে। এরপরই খুব অল্প সময়ের মধ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে করোনা। তবে তার আগেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে চীন। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ধাক্কা খায় দেশটি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীনের বাইরে এখন বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। প্রতিবেশী ভারতেও থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। কিন্তু করোনার এই তাণ্ডবের মাঝেও থেমে নেই ভারতের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রচেষ্টা।
যুক্তরাষ্ট্রের হাজারের অধিক কোম্পানিকে চীন থেকে ভারতে নিয়ে আসতে চায় দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে মেডিকেল ডিভাইস জায়ান্ট অ্যাবট ল্যাবরেটরিজসহ বড় বড় আরও অনেক কোম্পানি। গত এপ্রিল পর্যন্ত ভারত সরকার ও তাদের বিদেশি মিশন ১ হাজারের অধিক আমেরিকান কোম্পনির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের ম্যানুফেকচারিং চীনের বদলে ভারতে আনার জন্য প্রণোদনা দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় কর্মকর্তাদের একটি সূত্র জানায়, ভারত মেডিকেল সরঞ্জাম উৎপাদন ও সরবরাহকারী, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান, টেক্সটাইল, চামড়া, গাড়ি যন্ত্রাংশ ইত্যাদি খাতের কোম্পানিগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। আলোচনায় অন্তত ৫৫০টি খাতের কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে।
মূলত চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধে এমনিতেই কোম্পানিগুলো হতাশ। তার ওপর করোনা মহামারীর জন্যও চীনকে অভিযুক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবনতিশীল এ পরিস্থিতিতে ভারত আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আসতে চোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেইট মাইক পম্পেও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা পুর্নগঠনের জন্য ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে কথা বলছে।’ এ সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা চীন থেকে অন্যত্র নেওয়ার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। সূত্র: ব্লুমবার্গ, হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/কালাম