৫ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম চলবে। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে একযোগে সারাদেশে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, 'টিকার ভবিষ্যৎ সংকট ও দ্বিতীয় ডোজ দ্রুত শেষ করে শৃঙ্খলা রক্ষার কৌশল হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। টিকা সংকট সমাধানে দ্রুত কোনো সহজ পথের দেখা মিলছে না। সরকারি চুক্তির আওতায় গত প্রায় দুই মাসে আরও কমপক্ষে এক কোটি ডোজ টিকা দেশে আসার কথা থাকলেও তা আসেনি।'
এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিনে আনা ৭০ লাখ ডোজ এবং ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেওয়া ৩২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে সরকারের কাছে। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৩১ জন অর্থাৎ তাদের দ্বিতীয় ডোজ দিতে একই সংখ্যক টিকা লাগবে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত হাতে আছে ৪৮ লাখ ২৯ হাজার ৫৬৯ ডোজ। ফলে ঘাটতি রয়েছে আরও পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ৮৬২ ডোজ টিকার। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত যদি প্রথম ডোজ চালানো হয় তবে হাতে থাকা টিকা থেকে তিন লাখ ডোজের কাছাকাছি টিকা কমে যাবে। ফলে ঘাটতি আরও বাড়বে। ঘাটতি যত বাড়ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তাও বাড়ছে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেছেন, ‘চেষ্টার কোনো ঘাটতি নেই। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা এসে যাবে। তখন আর সমস্যা থাকবে না।’
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকাদান) ডা. শামসুল হক বলেন, ‘৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা চলবে। এর আগে যদি কোথাও কোনো সেন্টারে টিকা শেষ হয়ে যায় তবে সেখানে ওই দিন পর্যন্ত প্রথম ডোজ শেষ করে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকতে হবে, আমরা তাদের কাছে দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাঠাব।'
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির