যুক্তরাষ্ট্র টিকা গ্রহণকারিরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবেন। তবে তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পড়তে হবে। দেশটির অভন্তরীণ ফ্লাইটগুলোতে চলাচল করতে টিকা গ্রহণকারিদের পিসিআরের প্রয়োজন হবে না।
তবে ভ্রমণকারীদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের গন্তব্য সরকারি বিধি-নিষেধ অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। বিদেশ ভ্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে ফ্লাইট ছাড়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ঐ দেশ থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সাথে আনতে হবে। শুধু তাই নয়, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের অবতরণের ৩ থেকে ৫দিনের মধ্যে করোনা টেস্ট করতে হবে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন) এই ঘোষণা দিয়েছে। জনসন এ্যান্ড জনসনের একটি এবং অপর ভ্যাকসিনের দুটো করে ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের জন্যে এটি স্বস্তিদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ঘোষণা দিলেও বিমান ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বাস, রেলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ এখনও অধিকাংশ আমেরিকানই টিকা নিতে সক্ষম হননি।
এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ কোটি ১৮ লাখ আমেরিকান টিকা নিয়েছেন। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। একইসাথে টেস্টগুলোতে করোনার নতুন ধরনের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। দৈনিক গড় মৃত্যুর হার এখনও এক হাজারের কাছাকাছি রয়েছে।
সিডিসি পরিচালক ড. রচেলা ওয়ালনেস্কি বলেন, 'আমরা সকলকে অনুরোধ জানিয়েছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। তবে যারা ইতিমধ্যেই পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন তারা নিরাপদেই চলাফেরা করতে পারবেন মাস্ক পড়ে।' কিন্তু স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি যে, টিকা গ্রহণকারিরা পুনরায় সংক্রমিত হবেন কিনা। এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই এয়ারলাইন্সসমূহে যাত্রী সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ঘরবন্দি মানুষেরা বাইরে বের হচ্ছেন দলে দলে। টিএসএ-এর সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারপোর্টসমূহে সিকিউরিটি চেক পয়েন্ট অতিক্রম করেছে ১৬ লাখ আমেরিকান। করোনা মহামারির এক বছরের মধ্যে এটি হচ্ছে সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রীর বিমানে ভ্রমণ।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, 'ভাইরাস এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই সকলকেই মাস্ক পরিধান অব্যাহত রাখতে হবে। আমি অনুরোধ জানাচ্ছি করোনা মোকাবেলায় যতটা অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে তাই সকলকেই স্বাস্থবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।’
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির