বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আইসিইউ বেডের চরম সংকট চলছে। ১২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোতেই মুমূর্ষ রোগী চিকিৎসাধীন। আরও অন্তত ২০ জন মুমূর্ষ রোগী আছেন যাদের জরুরি আইসিইউ সেবা প্রয়োজন। এর মধ্যেও করোনা উপসর্গ নিয়ে গড়ে ২০জন রোগী প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছনি করোনা ওয়ার্ডে। অথচ ওই ওয়ার্ডে নেই স্থায়ী কোন চিকিৎসক। ধার করা চিকিৎসক দিয়ে সাধ্যমতো আইসিইউ সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান।
শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১৮জন রোগী। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২১ জনের। মোট ১২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোই রোগীতে পরিপূর্ণ। আরও অন্তত ২০ জন আছেন যাদের জরুরী আইসিইউ সেবা প্রয়োজন। কিন্তু বেড না থাকায় তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৭০ জনের নমূনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩০জনের।
এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে ১৫০টি। এর মধ্যে ১২টি আইসিইউ বেড। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১৮জন রোগী। সবগুলো আইসিইউ বেড পরিপূর্ণ। করোনা ওয়ার্ডের আইসিইউ’তে ৩ শিফটে মাত্র ৩ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে ৩ শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন ১৫জন চিকিৎসক। যা প্রয়োজনের তুলানায় ৬০ ভাগ মাত্র বলে জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কিংবা রোগীর ফুটফরমায়েশ খাটার জন্য এই ওয়ার্ডে নেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। পেটে ভাতে নামমাত্র রোগীর সেবা করেন বহিরাগত অন্তত ২০জন নারী। দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সামনে চলছে বহিরাগত সেবা। এই অবস্থায় রোগীর চাপ বাড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে শংকিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২০২০ সালের মার্চে এই হাসপাতালের করোন ওয়ার্ডে মারা যায় ১ জন। রোগী ভর্তি ছিলো ৮জন। অথচ এই মার্চে করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছে ৩২জন এবং রোগী ভর্তি ছিলো ৩৫১জন। এই পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। আগামীতে রোগীর চাপ বাড়লে করোনা ওয়ার্ডে মানবিক বিপর্যয় হওয়ার আশংকা করছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন