বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

হদিস নেই দুই হাজার কেজি চালের

গাংনী খাদ্য গুদাম

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা খাদ্য গুদামের দুই মেট্রিক টন (দুই হাজার কেজি) চালের হিসাব মিলছে না। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে টিআর ও জিআর বরাদ্দের এ চাল অব্যয়িত থাকলেও গুদাম কর্তৃপক্ষ ব্যয় দেখিয়েছে বলে জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। চাল গায়েব হওয়ার কারণ তদন্তে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দিলিপ কুমার জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মেহেরপুর-২ আসনের এমপির অনুকুলে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল উপ-বরাদ্দ পাওয়া যায়। ভোলাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকে সোলার প্যানেল স্থাপনের নামে বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল গণির অনুকূলে এক মেট্রিক টন এবং থানাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়নে এক মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চাল উত্তোলনের জন্য পিআইও অফিস থেকে ডিও গ্রহণ করেননি আব্দুল গণি। অপরদিকে থানাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো কমিটি জমা দেয়নি। ফলে এ দুই প্রকল্পের দুই মেট্রিক টন চাল রয়ে যায় অব্যয়িত। অপরদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি পরিবারকে সহযোগিতার জন্য জিআর খাত থেকে ৭৫ কেজি চাল বরাদ্দ দেন ইউএনও। ওই চাল পরিবারগুলো গ্রহণ না করায় তাও থেকে যায়। অব্যয়িত এ চালের প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পত্র পাঠান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে। আজও কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন, তার হিসাবে কোনো অব্যয়িত চাল নেই। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পাঠানো পত্র অনুযায়ী ডিও তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া গুদাম কর্মকর্তা কিভাবে চাল ব্যয় করেছেন তা তিনিই বলতে পারবেন। অব্যয়িত চালের বিষয়ে আগামী রবিবার প্রতিবেদন পাঠানো হবে। গুদাম কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘থানাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের চাল প্রদান করা হয়নি। ভোলাডাঙ্গা কমিউনিটি সেন্টারে সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের এক মেট্রিক টন এবং ৭৫ কেজি জিআর চালের বিষয়ে আগামী রবিবার জানাব।’ থানাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিজেদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে তিনি কমিটি দাখিল করেননি। কমিটি দাখিল না হলে চাল উত্তোলনের প্রশ্নই আসে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ-উজ-জামান জানান, অব্যয়িত চালের বিষয়ে গুদাম কর্মকর্তার কোনো দুর্নীতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর