নরসিংদীর চরাঞ্চলে বসতভিটার জমি বিক্রি না করায় এক দিনমজুরের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া বাড়ির চার দিকে বেড়া দিয়ে পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। স্কুলে যেতে পাড়ছে না ওই বাড়ির ছেলে-মেয়েরা। এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী পরিবার প্রতিকার চেয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, মেঘনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল সদর উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের পূর্ব পুরুষের ভিটায় বসবাস করছেন দিনমজুর কামাল হোসেন ও তার পরিবার। বাড়ির পাশেই নোয়াব আলী গাজী উচ্চ বিদ্যালয়। সম্প্রতি এক শিল্পপতির কাছ থেকে অনুদান নিয়ে স্কুলটিতে কলেজভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। জমি ক্রয় শুরু করেন স্কুল পরিচালনা কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় দিনমজুর কামাল হোসেন ও হেনা বেগমের বসতভিটা বিক্রির প্রস্তাব দেয়। কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় দিনমজুর পরিবার বসতবাড়ি বিক্রি করতে রাজি হয়নি। এতে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য, নজরপুর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা বাবলু গাজী তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে দেন দরবার চলছিল। সর্বশেষ পরিচালনা কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ওই বাড়ির চারপাশ বেড়া দিয়ে লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা কামাল ও হেনার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও গোয়াল ঘরসহ কয়েককটি বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই বাড়ির চারপাশে বেড়া ছিল। ভুক্তভোগী হেনা বলেন, ‘স্কুল নির্মাণের সময় চার শতাংশ জায়গা দিয়েছি। এখন আমাদের পুরো বাড়ি স্কুলের নামে লিখে দিতে চাপ দিচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু গাজী। এতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। চারপাশে বেড়া দিয়েছে। বাবলু গাজীর ভাষ্য, অভিযোগকারীরা মাদক ব্যবসায়ী। একাধিকবার জেল খেটেছেন। তাদের সঙ্গে স্কুলের কোনো সম্পর্ক নেই। কলেজের জন্য আমরা গ্রামের অন্য লোকদের কাছ থেকে জমি কিনেছি। হামলা, অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১১ জানুয়ারির পর আমি গ্রামেই যাইনি। এ সব মিথ্যা অভিযোগ।’