সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

কাজুলিয়া বিলের দুই হাজার একর জমি ৩০ বছর ধরে অনাবাদি

জলাবদ্ধতা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

কাজুলিয়া বিলের দুই হাজার একর জমি ৩০ বছর ধরে অনাবাদি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া বিলের পরিত্যক্ত ভূমির একাংশ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া বিলের প্রায় দুই হাজার একর জমি ৩০ বছর ধরে অনাবাদি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে এ জমি চাষ করতে পারছে না কৃষকরা। অথচ এক সময় এই বিলের ধানে গোলা ভরে যেত স্থানীয় চাষিদের। বিলের পানি নিষ্কাশন করে এসব জমিতে সোনালি ধান ফলানো সম্ভব বলে মনে করেন এলাকাবাসী। জানা যায়, ১৯৮৮ সালে বন্যার পর উপজেলার কাজুলিয়া বিলের ভূমি মালিকদের দুঃখের শুরু। তখন বিলের বিপুল পরিমাণ জমি থেকে বৃষ্টির পানি না সরে স্থায়ী হয়ে যায়। অথচ ওই বন্যার আগে এ বিলের জমি থেকেই এলাকার মানুষের সারা বছরের ধান আসত। যাদের জমি নেই, তারা অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ফসল কাটার সময় এ অঞ্চলের মানুষের মুখে থাকত হাসি। কাজুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ, আতিয়ার রহমান, সালাউদ্দিন, সমরচন্দ্র জানান, কাজুলিয়া বিলের মধ্যে রয়েছে ৫-৬টি বড় খাল। যে খালের মাধ্যমে পুরো বিলের পানি গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া খালে এসে পড়ার কথা। কিন্তু বিলের খালের গভীরতা বেশি, আর গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া খালের তলদেশ উঁচু হওয়ায় পানি নামতে পারে না। ফলে বিলের জলাবদ্ধতাও কমে না। দীর্ঘদিন অনাবাদি থাকায় বিলে ঘাস এমনভাবে জন্মেছে যা পরিষ্কার করাও কষ্টকর। বিলটি জমি মালিকদের ‘দুঃখের’ বিলে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া খাল খননের মাধমে কাজুলিয়া বিলের জলাবদ্ধাতা দূর করা সম্ভব। স্থানীয় কাজুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাখনলাল দাস জানান, কাজুলিয়া বিলের মধ্যে যেসব খাল রয়েছে তা সংস্কার করে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করতে কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশা করেন। বিলের খাল সংস্কারসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা গেলে এ বিল থেকে এখনো প্রচুর ধান উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী। আগামী বছর খাল সংস্কারের জন্য বরাদ্দ রাখার আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী সফি উদ্দিন।

সর্বশেষ খবর