সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঘেঁষে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধটি। আসছে বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ধসে বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তালা উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে গোনালী আরবিএস ইটভাটা। অভিযোগ আছে, ভাটার সীমানা গোনালী খেয়াঘাট সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশ থেকে মাটি কেটে তৈরি হচ্ছে এ ভাটার ইট। ভাটা ম্যানেজার সুদেল ইকবাল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর মাটি নেওয়া হয়, তাই এ বছরও কাটছি’। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বা এসিল্যান্ড অফিস থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া নেই। তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, তার জানা নেই। কেউ বাঁধ থেকে মাটি কাটলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালার ইউএনও ফরিদ হোসেন বলেন, ‘নদের বাঁধ থেকে মাটি কাটা অন্যায়’।
যশোর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর গোস্বামী জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কাটলে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। গোনালী গ্রামের কয়েক বাসিন্দা জানান, ২০১১ সালে এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। তখন কপোতাক্ষ নদের উপচেপড়া পানিতে বসতভিটা প্লাবিত হয়ে গৃহহীন হন কয়েক হাজার মানুষ। পরবর্তীতে কপোতাক্ষ নদ খনন করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। চলতি বছর ওই এলাকার আরবিএস ইটভাটার জন্য বেড়িবাঁধের পাশ থেকে অবাদে মাটি কাটা হচ্ছে। এজন্য বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। বর্ষা মৌসুম এলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। মাটিকাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, আরবিএস ইটভাটার ম্যানেজার সুদেল ইকবালের নেতৃত্বে শ্রমিক হিসেবে তারা মাটি কাটছেন।
দক্ষিণ নলতা গ্রামের ময়েজ উদ্দীন ও তফেলউদ্দিন জানান, গোনালী এলাকায় কপোতাক্ষ নদের উত্তর পাশে কয়েক বছর আগে ২৫ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে আরবিএস ইটভাটা প্রতিষ্ঠা করেন সাতক্ষীরা শহরের আতিয়ার রহমান। পরে কপোতাক্ষ নদের ভরাট হওয়া প্রায় ১০-১৫ বিঘা জমি দখল করে চালাচ্ছেন ভাটার কার্যক্রম।