সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

শীত-কুয়াশায় ঝরে পড়ছে পান, বিপাকে চাষিরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

গত বছরের দুই দফা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে পানের চাষ করে আবার বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের হাকিমপুরের চাষিরা। অব্যাহত তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে এ উপজেলার বিভিন্ন বরজের পান গাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে পান ঝরে পড়ায় আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে চাষিরা।পান চাষিরা জানান, প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশার কারণে গাছ থেকে পান ঝরে পড়ছে। আবার মরে যাচ্ছে অনেক পান গাছ। তাছাড়া কুয়াশার কারণে পান গাছের পাতায় কালো দাগ ও হলুদ রঙ ধরেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে পানপাতা। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে পান গাছে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো কৃষকের অভিযোগ, কৃষি কর্মকর্তাদের দেখাই পাওয়া যায় না। আর্থিক ক্ষতি নিয়ে তারা এখন দিশাহারা। কৃষি অফিস জানায়, হাকিমপুর উপজেলায় মূলত আমন ও বোরা ধানের আবাদ হয়ে থাকে। সম্প্র্রতি পান চাষ লাভজনক হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা পান চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা হিলির ঘাসুরিয়া, মংলা, নন্দিপুর, বালুপাড়া আর মাধবপাড়া গ্রামজুড়েই পান চাষ করা হচ্ছে। এ সব এলাকায় গড়ে উঠেছে অনেক বরজ। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কার্বন ড্রাইজিন অথবা ম্যানকোজিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ঘাসুড়িয়া গ্রামের পানচাষি আব্দুর রহমান বলেন, ‘৫২ শতক জমিতে বরজ করেছিলাম। শীত ও কুয়াশার কারণে পান গাছে রোগবালাই হয়ে পুরো বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারও পানের বরজ করলাম। কিন্তু সেই ধকলই কেটে উঠার আগে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল’। তিনি জানান, এই গ্রামেই ৫০ একর জমিতে বরজ আছে। এবার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর