রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে কৃষকের কপাল পুড়েছে ব্লাস্ট রোগে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বিরল, কাহারোল, চিরিরবন্দরসহ বিভিন্ন উপজেলায় আমন ক্ষেতে ব্লাস্ট (ধানের গলা পচা রোগ) রোগ দেখা দেওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। কীটনাশক  স্প্রে করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ফসল না পেলে সার, কীটনাশক ও তেলের টাকা কিভাবে পরিশোধ হবে দুশ্চিন্তায় কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ ব্লাস্ট রোগের কথা স্বীকার করলেও কৃষকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষি অফিস কৃষকদের বাস্টিন, ফিলিয়া, ট্রুপার, প্রভৃৃতি পরিমিত মাত্রায় ¯েপ্র করার পরামর্শ দিয়েছেন।  এ রোগ নিয়ে কৃষকরা শংকাগ্রস্ত হলেও কৃষি বিভাগ বলছে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এতে তেমন উৎপাদনে ক্ষতি হবে না। কৃষি বিভাগ এ রোগ প্রতিরোধে কৃষকের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। চিরিরবন্দরের পুনট্টি ইউনিয়নে ইরি-বোরো ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কাহারোল উপজেলার সুখান দিঘি, বলরামপুর, কাজীকাটনা, বিরল, হাসিলা, আজিমপুর, রাজুরিয়াসহ অনেক এলাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে চিরিরবন্দরের রোস্তম আলী, আইয়ুব আলী, জানান, ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতে ধানের শীষ বের হওয়ার পর তা সাদা হয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, ধানের দানা আসার আগে কৃষকদের ব্লাস্ট প্রতিরোধে স্প্রে করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কিছু কৃষক সেটা না করায় তাদের ধানে এই ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের ট্রুপার পরিমিত মাত্রায় ¯েপ্র করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এ রোগ হওয়ায় উৎপাদনে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

এরপরেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। আর এ রোগ আমাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এই ব্লাস্ট রোগটি বেশী ব্রি-৩৪ ধানে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কাজ করছেন। এই ব্লাস রোগ চিরিরবন্দর ও বিরলে বেশী দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।

এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন।

সর্বশেষ খবর