শিরোনাম
শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শীতকালিন পিয়াজ চাষীদের চোখে হাসির ঝিলিক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

এবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জমিতে শীককালিন পিয়াজ আবাদ করা হয়েছে। আর স্মরণকালের সর্বোচ্চ দামের কারণে এখানকার পিয়াজচাষীদের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক। তবে বেশি দামের লোভে খেত থেকে অপরিপক্ব পিয়াজ তুলে বিক্রি করছেন চাষীরা।

দৌলতপুর উপজেলা শীতকালীন পিয়াজ চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। বহুকাল ধরে এ অঞ্চলের কৃষক এই পিয়াজ চাষ করে আসছেন। এ অঞ্চলের অন্যতম অর্থকরী ফসল শীতকালিন পিয়াজ । কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মোট ১১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি জমিতে পিয়াজ চাষ করেছেন এ উপজেলার কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ জানায় এই পিয়াজ সম্পূর্ণ পরিপক্ব থেকে আরও ১৫-২০ দিন সময় লাগার কথা। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, কারণ দেশে পিয়াচের দাম সব রেকর্ড পার করেছে এরই মধ্যে। তাই বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা অপরিপক্ব পিয়াজ উত্তোলন শুরু করে দিয়েছেন। এতে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি দামের কারণে পুষিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর বীজের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে পিয়াজ চাষে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে এখন এক বিঘা জমির পিয়াজ বিক্রি করে খরচের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি টাকা আসছে। তবে স্থানীয় বাজারে বিক্রির চেয়ে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পিয়াজ রাজধানী ঢাকাসহ বড় মোকামগুলোতে পাঠাতে বেশি আগ্রহী। উপজেলার সবজিগ্রামখ্যাত শশীধরপুর এলাকার চাষী জলিল মন্ডল বলেন, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে শীতকালিন পিয়াজ চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। তিনি বলেন ইতিমধ্যে, তিনি খেত থেকে পিয়াজ উত্তোলন করে ঢাকার বাজারে ২ লাখ বিক্রি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। উপজেলার ফারাকপুর গ্রামের পিয়াজচাষী আক্তার হোসেন জানান, তারা বংশ পরম্পরায় শীতকালিন পিয়াজের চাষ করে আসছেন। তবে এ বছর পিয়াজ চাষ করে তিনি যা লাভ পেয়েছেন তা আগে কখনও পানননি।

সর্বশেষ খবর