লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা বৃহস্পতিবার। সভা ঘিরে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই সাধারণ নেতা-কর্মীদের। জেলাসহ লক্ষ্মীপুরের সব কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব কমিটির কী হবে সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও বসে নেই সাবেক ছাত্র নেতারা। নেতৃত্ব পেতে লবিং-তদবির শুরু করেছেন অনেকে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে দলের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় লক্ষ্মীপুরবাসী। স্থানীয় কুটুমবাড়ী রেস্তোরাঁয় কাল সকাল ১০টায় সভা অনুষ্ঠিত হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেবেন। এ ছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ সরাসরি এ সভায় অংশ নেবেন। বর্ধিত সভা ঘিরে সভামঞ্চ এলাকা এখন সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। ব্যানার-পেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর।
আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনকে টার্গেট করে প্রার্থীদের দিয়ে শক্তি প্রদর্শনের মহড়াও চলছে। সম্প্রতি জেলার পদবঞ্চিত সাবেক ছাত্রনেতারা ফোরাম গঠন করে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তাদের দলে মূল্যায়ন করার দাবি জানান। জেলা পর্যায়ের শতাধিক ছাত্রনেতাকে নিয়ে সভা আয়োজন করে তারা লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগকে গণমুখী করে গতিশীলতা আনার কথা তুলে ধরেন। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, বর্ধিত সভায় মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনে সম্মেলন, পৌরসভা নির্বাচন, দলে গ্রুপিং না রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সভাপতি গোলাম ফারুক পিঙ্কু বলেন, রাজনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সভা আহ্বান করা হয়েছে। তাদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে সভার এজেন্ডা। জানা যায়, ২০১৫ সালের মার্চে লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগের সবশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গোলাম ফারুক পিঙ্কুকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। বর্তমানে ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ১৮ বছর, পৌর কমিটির ১৮ বছর, রায়পুর উপজেলা ১৭ বছর, রায়পুর পৌর কমিটির ২২ বছর ধরে সম্মেলন হচ্ছে না। একই অবস্থা রামগতি-কমলনগরেও। রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।