রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নেই সাব-রেজিস্ট্রার দুর্ভোগে শ্রীমঙ্গলবাসী

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

নেই সাব-রেজিস্ট্রার দুর্ভোগে শ্রীমঙ্গলবাসী

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা অফিসে এক বছরের বেশি সময় ধরে নেই সাব-রেজিস্ট্রার। খন্ডকালীন সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে গুরুত্বপূর্ণ এ অফিসের কার্যক্রম। ফলে উপজেলার মানুষ জরুরি প্রয়োজনে জমি রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না। সময়মতো তোলা সম্ভব হচ্ছে না দলিলের নকল। অতিপ্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলার মানুষ। তাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব এ উপজেলায় একজন স্থায়ী সাব- রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হোক। জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর এ অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার অবসরে যান। এরপর আর নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন এ অফিসে গড়ে ৪০-৫০টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়। চার দিনের কাজ দুই দিনে করতে গিয়ে জনসাধারণের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। সকালে এসে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন মানুষ। গত বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, রাত সাড়ে দশটায় সাব-রেজিস্ট্রারের সামনে মানুষের জটলা। দলিল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন দলিল লেখকরা। জমি রেজিস্ট্রি করতে এসে শহরের উকিলবাড়ী সড়কের বৃদ্ধ বিধু দেব বিকাল ৫টা থেকে হুইলচেয়ারে বসে আছেন। রাত পৌনে ১১টায়ও তার ডাক আসেনি। জানাউড়া গ্রামের আমিনা বেগম এসেছিলেন সকাল ১০টায়। তার জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে রাত ১০টায়। দলিল লেখক ফজলুল রহমান বলেন, মানুষের এই কষ্ট দেখলে নিজেরই কষ্ট লাগে। অফিসের নকলনবিশ আবদুল আহাদ বলেন, ‘বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত আমাদের কাজ করতে হয়েছে। সাত দিনের কাজ এক দিনে করতে গিয়ে যেমন আমাদের কষ্ট হয়, তেমনি মানুষজনও কষ্ট পান। তারপরও আমাদের করতে হচ্ছে কারণ এখানে সাব-রেজিস্ট্রার নেই।’ উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ছায়েদ আলী বলেন, স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

জরুরি প্রয়োজনের সময় লোকজন জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে পাছেন না। জেলা রেজিস্ট্রার জেড এম ইমরান উদ্দিন বলেন, ‘এখানে আমাদের কিছু করার নেই। পিএসসি থেকে সিলেক্ট করার পর মন্ত্রণালয় থেকে সাব-রেজিস্ট্রার দেওয়া হয়। আমরা পদ শূন্য দেখিয়ে পত্র পাঠিয়েছি।’

সর্বশেষ খবর