কুড়িগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে শীতজনিত রোগী দিন দিন বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে রোগী বাড়ছে বলে জানা গেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি শীতের কারণে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। রাতে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন কিছুটা কাহিল। গরম কাপড়েও কমছে না শীত। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো রয়েছে চরম দুর্ভোগে। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘœ ঘটছে। এদিকে ঠান্ডার কারণে দুর্ভোগে রয়েছে দিনমজুর, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার মহিজন বেওয়া বলেন, ‘আমার বোন, তার শাশুড়ি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমি নাগেশ্বরী থেকে এসেছি তাদের দেখভাল করতেন। এ এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে শীতজনিত রোগে ভুগছে কেউ না কেউ।’
একই এলাকার বাসিন্দা নয়ন সরকার বলেন, ‘শীতে বয়স্ক মানুষ শ্বাসকষ্ট আর সর্দিকাশিতে কাহিল হয়ে পড়েছে। যে ঠান্ডা তাতে কম্বল গায়ে দিয়ে শীত নিবারণ করা যাচ্ছে না।’ সদরের ধরলা তীরবর্তী চর ভেলাকোপায় বসবাসরত আজাদ ও কামাল বলেন, ‘শীতের কারণে আমাদের বেশ কয়েকজন শয্যাশায়ী। ঠান্ডায় বাইরে কাজে বের হতে না পেরে খুব কষ্টে কাটছে দিন।’ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, ঠান্ডার প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। একটু সাবধানে থাকলে এসব থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে গড়ে ৬০ জন। এর অধিকাংশ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। লোকবল কম থাকায় আমাদের ওপর খুব চাপ হচ্ছে। আমরা শীতজনিতসহ অন্যান্য রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’