হঠাৎ ভাঙন আতঙ্কে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দের মানুষ। দিনের পর দিন নদীভাঙনের ভয়াবহতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলায় গোয়ালন্দ উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন। ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত ১০ বছরে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। নিজের ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র মানবেতর জীবনযাপন করছেন নদীপারের এসব মানুষ। গোয়ালন্দ উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেবগ্রাম নামের ইউনিয়নটি। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের শুরুতে গোয়ালন্দে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মাঝে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত একর ফসলি জমি। এ বছর শুধু দেবগ্রাম ইউনিয়নের ২ হাজার পরিবার নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। বছররের পর পর নদীতে বসতবাড়ি ও কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আনোয়ার ব্যাপারী বলেন, নদীভাঙন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। চারবার ভাঙনের কবলে পড়েছি। সাত নম্বর ফেরিঘাটের পাশে আমার বাড়ি। শুনছি ফেরিঘাটের কারণে আমাদের এ এলাকায় সিসি ব্লক দিয়ে নদী শাসন করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো আভাস পাচ্ছি না। এ বছর আমার বাড়ি পদ্মায় ভেঙে যাবে। একই ইউনিয়নের হাতেম ম লের পাড়ার বাসিন্দা আক্তার শেখ বলেন, লঞ্চঘাটের উজানে হাতেম ম লের পাড়ায় শত শত বসতবাড়ি ছিল। বর্তমানে ৩০-৪০টির মতো পরিবার এখানে বসবাস করছে। নদীভাঙন শুরু হয়েছে। যে কোনো সময় আমাদের বাড়ি নদীতে ভেঙে যেতে পারে। প্রশাসন মাঝে মাঝে এসে দেখা যায়। দেবগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আনোয়ার শেখ বলেন, ভাঙন শুরু হলে আপনারা নিউজ করেন। অফিসাররা আসেন, দেখে যান। সর্বোচ্চ হলেও কিছু জিওব্যাগ ফেলে। অসময়ের এ জিওব্যাগ কোনো কাজে আসে না। সেখানে দুর্নীতি হয়। স্থায়ী পদক্ষেপ ছাড়া এসব জিওব্যাগ দিয়ে নদীভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে জানান, ভাঙন রোধে ফেরিঘাট এলাকাকে কেন্দ্র করে ছয় কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ীভাবে সিসি ব্লক দ্বারা নদীভাঙন রোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই নদী শাসন কাজ শুরু হবে। গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী বলেন, আমি নদীভাঙন এলাকার জনপ্রতিনিধি। এ এলাকার মানুষের প্রধান চাওয়া ভাঙনরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নদীভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন।
শিরোনাম
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা