মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকিতে বসবাস

আল মামুন সাগর, কুষ্টিয়া

পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকিতে বসবাস

ভবনগুলো দেড় শ বছরের পুরনো। পলেস্তারা খসে পড়ছে। ঝড়-বৃষ্টি নামলেই বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। হালকা বাতাসেই কেঁপে ওঠে জরাজীর্ণ দালানকোঠা। ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে নষ্ট করে দেয় আসবাবপত্র। ঝড়-বৃষ্টির প্রতিটি দিনই যেন ওদের কাছে বিভীষিকাময়। যে কোনো সময় ভবনগুলো ধসে পড়ে প্রাণহানিসহ ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু বিকল্প কোনো পথ না থাকায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌর এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারকে জরাজীর্ণ এসব পরিত্যক্ত ভবনেই বছরের পর বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। কুমারখালী পৌরসভা ও এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যমতে, প্রায় দেড় শ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে প্রভাবশালী কুন্ডু বংশধররা কুমারখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক ভবণ নির্মাণ করেন। সে সময় ইটের সুরকি, রাবিশ ও চুন দিয়ে ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক পূর্বেই তারা এ দেশ ছেড়ে চলে গেলে বাড়িগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।  দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্থানীয়রা ওই ভবনগুলো নিজেদের দখলে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দিন দিন ভবনগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিটি ভবনেই পরগাছা বাসা বেঁধেছে। প্রতিদিনই পলেস্তারা, চুন, সুরকি খসে খসে পড়ছে। অনেক স্থানেই ধস দেখা দিয়েছে, ধরেছে ফাটল। পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ এসব ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অর্ধশতাধিক পরিবার বছরের পর বছর বসবাস করছেন। কুন্ডুপাড়ার নুরুল ইসলাম বলেন, সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ২১ বছর ধরে তিনি এরকম একটি ভবনে বসবাস করছেন।

সর্বশেষ খবর