শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মেঘনার ভাঙনে দিশাহারা মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

মেঘনার ভাঙনে দিশাহারা মানুষ

সরাইলে নদীতে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ মাঠ ও স্থাপনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে দিশাহারা সহস্রাধিক পরিবার। সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, শাখাইতি ও লায়ারহাটির দুই কিলোমিটার এলাকা মেঘনার ভাঙনের কবলে রয়েছে। সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানিশ্বর ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, মসজিদ ও চাতাল কলসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে শত শত পরিবারের। পানিশ্বর শাখাইতি এলাকার কুতুবউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, নদী ভাঙনের কবলে এই এলাকার ২০ থেকে ২৫টি চাতাল কল ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে। একেকটি চাতাল কলে কয়েক শ শ্রমিক কাজ করতেন। এখন তারা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীপন-যাপন করছেন। শাখাইতি গ্রামের ওসমান গনি বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখেছি আমাদের বাড়ির ৩০০ মিটার পশ্চিমে ছিল মেঘনা নদী। এই ৩০০ মিটার প্রায় সবটুকু নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন আমরা আতঙ্কে আছি। দ্রুত এখানে টেকসই বেড়িবাঁধ না দিলে যে কোনো সময় আমাদের বাড়িঘর নদীতে ভেসে যাবে। পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম বলেন, ৪-৫ বছর ধরে মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে ২৫টি চাতাল মিলের ৬০ ভাগ নদীতে বিলীন হয়েছে। ভিটামাটি হারিয়ে এখানকার বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। পালপাড়া এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার নদী ভাঙনের কবলে রয়েছে। কোটি কোটি টাকার জিও টেক্স বস্তা ফেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টায় সাময়িক সুবিধা হলেও স্থায়ীভাবে কাজে আসছে না। তিনি আরও বলেন, নদী ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে একসময় পুরো পানিশ্বর এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর