মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাঙা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ভাঙা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান

করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ও সংস্কারের অভাবে বগুড়ার আদমদীঘির ‘সান্তাহার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের’ দুটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি কমন রুমের ছাউনি ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ল্যাবে পাঠদান চলছে। লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ল্যাবের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে জরাজীর্ণ আধাপাকা ভবনের কারিগরি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এমন পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যায়, বিগত ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে একটি আধাপাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০০২ সালে কলেজটিতে দুটি (কম্পিউটার অপারেশন ও সাচিবিক বিদ্যা) শাখায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড  থেকে পাঠদানের অনুমোদন পায়। ২০০৪ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। ২০০৭ সালে আরও একটি (হিসাবরক্ষণ) শাখা চালু হয়। এই কলেজটিতে দুটি শ্রেণিকক্ষ, সাধারণ (কমন) কক্ষ, অধ্যক্ষের কক্ষ, শিক্ষক কমন কক্ষ, অফিস কক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি ও বঙ্গবন্ধু কর্নার মিলে মোট আটটি কক্ষ রয়েছে। স্থানীয় এলাকায় কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কলেজটি ভূমিকা পালন করে আসছে। একাধিকবার উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ শ্রেণিশিক্ষক, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। কলেজের পরিবেশ, কলেজ পরিচালনা কমিটির তত্ত¡ বধান আর শিক্ষকদের আন্তরিকতায় প্রতি বছরই ভালো ফলাফল করছে এখানকার শিক্ষার্থীরা। এখান থেকে বেরিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে বহু শিক্ষার্থী দেশেরে বিভিন্ন স্থানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের খাড়ির সেতু এলাকায় দোগাছী মাঠে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে কলেজটি। এসব শ্রেণিকক্ষের বিকল্প হিসেবে লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ল্যাবে পাঠদান করানো হচ্ছে। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুহুল আমীন বলেন, শ্রেণিকক্ষের তুলনায় কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরি ছোট হওয়ায় একদিকে যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না। তেমনি অপরদিকে লাইব্রেরিতে নিয়মিত পড়াশোনা ও কম্পিউটার ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাসের বিঘ্ন ঘটছে। কলেজের নারী বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও জেলা পরিষদের সদস্য মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, কলেজের পরিস্থিতির কথা শুনে অর্থিক অনুদানের ঘোষণা করেছি। বরাদ্দ পেলে সেখানে দেওয়া হবে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছায়ফুল ইসলাম বলেন, কলেজটিতে সুনামের সঙ্গে পাঠদান করানো হলেও অবকাঠামোর দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন কলেজ বন্ধ থাকায় কলেজের নিজস্ব তহবিলে অর্থ সংকটের কারণে জরুরি ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষসহ অন্যান্য কক্ষ মেরামত বা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। এখানে সরকারিভাবে একটি ভবন বরাদ্দ করা হলে লেখাপড়ার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।

ইতিমধ্যে জরাজীর্ণ আধাপাকা ভবনটির কক্ষগুলো সংস্কারের জন্য আর্থিক বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কলেজ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা ইউএনও শ্রাবণী রায় বলেন, লিখিত আবেদন পেয়ে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর