মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মাগুরায় গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই

মাগুরা প্রতিনিধি

মুজিব শতবর্ষে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না- এই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মাগুরায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য চলছে তৃতীয় ধাপের গৃহ নির্মাণ কাজ। মাগুরা জেলায় এই ধাপে ২৪৪টি ঘর  নির্মাণ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তৃতীয় ধাপের এই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৫০ হাজার ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার শালিখা উপজেলার তালখড়িসহ বেশ কয়েকটি স্থানে জেলা প্রশাসন ও এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চলছে তৃতীয় ধাপের গৃহ নির্মাণ কাজ। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলো আগের চেয়ে আরও উন্নত করে নির্মিত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ইতোমধ্যে শালিখা উপজেলায় শতখালী ইউনিয়নের ফকিরের বাছড়া, শালিখার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের সোনাকুড় কোতপুর গ্রাম, সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগ গ্রাম ও জগদলের মাধবপুরে ৩৫০টি দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর ভূমিহীনদের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

 এসব আশ্রয়ণে সোলার বাতিসহ রয়েছে নানা নাগরিক সুবিধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে আশ্রয়ণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান, জেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত প্রতিটি দুই কক্ষের মোট ৩১০টি ঘর ভূমিহীনদের জন্য তৈরি করে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা দেশে এই সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার। তৃতীয় পর্যায়ে মাগুরায় আরও ২৪৪টি ঘর নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সারা দেশে এই সংখ্যা ৫০ হাজার। আশ্রায়ণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে প্রত্যেকে খুব খুশি। স্থায়ী থাকার জায়গা পাওয়ায় নানা রকম সবজি চাষ, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা কাজে সময় পার করছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের নারী-পুরুষরা। বেড়েছে তাদের জীবন-যাত্রার মান। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বেড়েছে লেখাপড়ার সুযোগ। এ বিষয়ে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে এ বছরের মধ্যে মাগুরায় সব গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণের আওতায় আনার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এদিকে বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে উপকারভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে নানা ইতিবাচক বক্তব্য। মাগুরার শালিখা উপজেলার ফকিরের বাছড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঠাঁই পাওয়া রোজিনা বেগম জানান, ঘর না থাকায় এত দিন বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রিত থেকে তিনি চার সন্তান ও দিনমজুর স্বামী নিয়ে নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। এখন আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়ায় তাদের পুরো জীবন-যাপন পাল্টে গেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের খোলা জায়গায় গাভী ও হাঁস-মুরগি পালন করে তাদের সংসারে আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে সুবিধা হচ্ছে। একই কথা বলেছেন এই আশ্রয়ণ  প্রকল্পে ঠাঁই পাওয়া ইসহাক মিয়াসহ অন্যরা।

সর্বশেষ খবর