শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

জনপ্রিয় হচ্ছে পাচিং পদ্ধতি

কমছে বালাইনাশক প্রয়োগ, রক্ষা পাচ্ছে জীববৈচিত্র্য

আবদুল বারী, নীলফামারী

জনপ্রিয় হচ্ছে পাচিং পদ্ধতি

কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধান খেতের পোকা দমনের পাচিং পদ্ধতি। ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ থেকে রোপা খেত রক্ষায় এ পদ্ধতি কৃষিবান্ধব প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি প্রয়োগে ধান খেতে বালাইনাশক প্রয়োজন হয় না। সূত্র জানান, কৃষক কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ধান রক্ষা করতে এখন পরিবেশবান্ধব পাচিং পদ্ধতি ব্যবহারে ঝুঁকছে; যা কীটনাশকের ব্যবহার কমাতেও সাহায্য করে। এতে একদিকে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন; অন্যদিকে ক্ষতিকর কীটনাশক থেকে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে। জানা যায়, কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষক বোরো ফসলের জমিতে নির্দিষ্ট দূরত্বে শাখা-প্রশাখা সংযুক্ত গাছের মরা ডাল, বাঁশের কঞ্চি, আগালি, ত্রিকোণাকৃতির বাঁশের বাতা পুঁতে পাখি বসার জায়গা করেছেন। এর ওপর নানা প্রকার পাখি বসে দৃষ্টিসীমার মধ্যে ক্ষতিকর পোকা ধরে খাচ্ছে। এভাবেই কীটনাশক ছাড়া দমন হচ্ছে পোকা। ধান উৎপাদন খরচও কমে আসছে। উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের সরঞ্জাবাড়ী গ্রামের রানা সরকার বলেন, ‘৮ বিঘা জমিতে বোরো রোপণ করেছি। খেতে কীটনাশক প্রয়োগ করলে অনেক সময় মাজরা, পামরি, পাতা মোড়ানো পোকা ও ঘাসফড়িং মরে না। তখন ফসল উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। পাচিং পদ্ধতির কারণে পাখি ডালে বসে খেতের পোকা খেয়ে ফেলছে। এ প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব।’ কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছর ১১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে কৃষককে কীটনাশকের খরচ কমাতে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহী করা হচ্ছে। কৃষক এ পদ্ধতিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে ধান উৎপাদনে খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রোধসহ স্প্রেকারীরাও রোগব্যাধি থেকে রক্ষা পাচ্ছেন।’

সর্বশেষ খবর