বিয়ের প্রচলিত প্রথা ভেঙে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার এক নবদম্পতি। গতকাল এ বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়। চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী বরযাত্রী কনের বাড়ি যান বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে। সেখান থেকে কনেকে নিয়ে আসেন নিজের বাড়ি। কিন্তু শৈলকুপার ইউএনওর গাড়িচালক আবদুল কাদেরের মেয়ে উল্টো কাজটি করেছেন। তিনি তার আত্মীয়স্বজন নিয়ে একই উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের সামসুদ্দিন লস্করের ছেলে সাংবাদিক এম এ মালেক শান্তর বাড়ি হাজির হন বিয়ে করার জন্য। কনেকে ফুলের মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করেন বরপক্ষের লোকজন। এরপর বর-কনে আসনে বসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। অতিথিদের আপ্যায়ন করানো হয়। কনে থেকে যান ছেলের বাড়িতে। ব্যতিক্রমধর্মী এ বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে স্থানীয়দের উৎসাহের কমতি ছিল না। বরের বাড়িতে যেমন উৎসাহী জনতার ভিড় ছিল তেমনি কনের বাড়িতেও অনেক মানুষ জড়ো হন। কনে সেলিনা বলেন, ‘ছেলেরা যদি পারে মেয়েদের বিয়ে করে নিয়ে আসতে, তাহলে মেয়েরা কেন পারবে না। নতুন সিস্টেমে বিয়ে করতে পেরে আমি অনেক খুশি। প্রথমে ভেবেছিলাম এভাবে বিয়ে করব, ঠিক হবে কি না। পরে রাজি হই।’ পুরুষশাসিত সমাজে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের বহিঃপ্রকাশে প্রথা ভেঙে বিয়ে করার বিষয়টিকে প্রতীকী বলে জানিয়েছেন বর এম এ মালেক শান্ত।