শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে ভাঙ্গার অনেকেই

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

‘যারা ৫ বছর আগে লাখ টাকার মুখ দেখেনি তারা আজ কোটিপতি। ব্যাংকের লোকজন আমানত সংগ্রহের জন্য তাদের বাড়িতে দৌড়ায়। পদ্মা সেতুর কারণে ভাঙ্গার অনেক মানুষ কোটিপতি হয়েছে। ভাগ্য খুলেছে তাদের।’ এভাবেই অভিমত ব্যক্ত করলেন ভাঙ্গা বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী ওলিউর রহমান ঠাকুর (৬৮)। জানা যায়, পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয় পদ্মা সেতু এক্সপ্রেস ওয়ে। ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড়ে নির্মাণ করা হয় বহুমুখী ইন্টারচেঞ্জ। এ জন্য সরকার অনেক জমি অধিগ্রহণ করেন। এর পরেই ঢাকা-ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি ভাঙ্গায় রেলওয়ে জংশন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ জন্যও সরকার জমি অধিগ্রহণ করে। দফায় দফায় জমি অধিগ্রহণের কারণে কপাল খুলে ভাঙ্গার অসংখ্য মানুষের। সরকারি ভাবে মৌজা নির্ধারিত সর্বোচ্চ দামের তিনগুণ দাম পেয়েছেন জমির মালিকেরা। এর পাশাপাশি ঘর বাড়ি, গাছপালার দামও পেয়েছেন কয়েকগুণ বেশি। ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি একসঙ্গে এত টাকা পাব তা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার যে জমিটি সরকার নিয়েছে, ঐ জমির প্রকৃত দামের চেয়ে অনেক বেশি টাকা পেয়েছি। লটারির মতো আমাদের ভাগ্য খুলেছে।  ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা পৌরসভা, আজিমনগর, চান্দ্রা, ঘারুয়া, তুজারপুর, আলগী ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩০টি গ্রামের শত শত মানুষ জমি অধিগ্রহণের ফলে লাভবান হয়েছে। একটি বে-সরকারি ব্যাংকের ভাঙ্গা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে যারা জমি অধিগ্রহণের টাকা পেয়েছে আমরা তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝিয়েছি আমাদের ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য। এতে কাজ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর