শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

সুগন্ধার পেটে বসতভিটা-জমি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

সুগন্ধার পেটে বসতভিটা-জমি

ভাঙনের কবলে সড়কসহ জনবসতি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যত্রতত্র অবৈধ ড্রেজার দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন ও ক্রয়-বিক্রয় করছে একটি সিন্ডিকেট। এতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ১৫ দিনে বিলীন হয়েছে নদীপাড়ের বসতভিটা ও ফসলি জমি।

নলছিটি উপজেলার খাজুরিয়া থেকে কুমারখালি পর্যন্ত নদীর পাড় ঘেঁষে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। এতে অনুরাগ দড়িচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। মল্লিকপুর এলাকায় নদী থেকে মাত্র ৪০ ফুট দূরে রয়েছে বরিশাল-নলছিটি সড়ক। ভাঙন অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় সড়কটি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিন দেখা যায়, সরকারি ইজারাভুক্ত কোনো বালুমহাল না থাকলেও অবৈধভাবে প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ১৫-২০টি ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। শত শত বলগেট, কার্গো ও ট্রলার দিয়ে বালু নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন স্থানে। যে চক্র বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে তাদের নেই এ-সংক্রান্ত কোনো অনুমতি বা অনুমোদন। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে লাখ লাখ টাকার বালু। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ, অসন্তোষ ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।  ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, ড্রেজারের মাধ্যমে অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে নদীভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়িসহ অনেক ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বহু লোক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে মানচিত্র থেকে মুছে যাবে নদী তীরের অনুরাগ, খাজুরিয়া ও মল্লিকপুর গ্রাম। তারা আরও অভিযোগ করেন, ফসলি জমি হারিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হলেও দেওয়া হয় হুমকি। ইজারা না নিয়েই চলছে বালু হরিলুট। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অনুরাগ দড়িচর গ্রামের কৃষক আবদুর রহিম জানান, প্রতিবছর নদী ভাঙলেও এবার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুম্পা সিকদার জানান, নদীভাঙন রোধ করতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর