সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

উর্বরতা হারাচ্ছে আবাদি জমি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

উর্বরতা হারাচ্ছে আবাদি জমি

রংপুর অঞ্চলের আবাদি জমিতে পরিমাণমতো জৈব সার ব্যবহার হচ্ছে না। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি স্বাস্থ্যসম্মত জমিতে ৫ শতাংশ জৈব সারের প্রয়োজন হলেও রংপুর অঞ্চলের জমিতে আছে এক থেকে দেড় শতাংশ। ফলে এ অঞ্চলের জমিগুলো উর্বরতা হারাচ্ছে। মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়াতে হলে কৃষকদের আরও সচেতন হতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জমিতে সুষম সারের ব্যবহার কিছুটা বাড়লেও কমেছে গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার। এ ছাড়া এখনো ৪ শতাংশ কৃষক সঠিক বয়সে চারা রোপণ করছেন না। ফলে গড় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমি থেকে জৈব পদার্থ হারিয়ে যায়। রংপুর অঞ্চলের জমিতে পাঁচ ভাগ জৈব পদার্থ থাকা দরকার। কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলের জমিতে জৈব পদার্থ ছিল মাত্র এক ভাগ। আশার কথা হলো বিগত কয়েক বছরে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ায় জমিতে জৈব পদার্থের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় শতাংশ। জমির স্বাস্থ্য রক্ষায় কাক্সিক্ষত লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছাতে আরও সাড়ে ৩ শতাংশ জৈব সার ব্যবহার বাড়াতে হবে। চলতি বোরো মৌসুমে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলায় জৈব ও সুষম সার ব্যবহার বেশি হলেও অনেক কমেছে গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার। কৃষিবিদদের মতে, রংপুর অঞ্চলের আবাদি জমিতে গড়ে এক থেকে দেড় শতাংশ জৈব পদার্থ রয়েছে। এই অঞ্চলের মাটির প্রাণশক্তি আরও বাড়াতে হলে এ সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাণিজ জৈব সার বলতে গৃহপালিত পশুপাখির মলমূত্র পচিয়ে তৈরি বস্তুকে বোঝায়। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রাণিজ জৈব সার হচ্ছে গোবর। আমাদের দেশে উৎপন্ন গোবরের বিরাট অংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। তবে মাটির উন্নয়নের জন্য যতটুকু গোবর দরকার তা জমিতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৃত্তিকা গবেষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ী ঢাকার উপ-পরিচালক আবু সায়েম বলেন, আগে রংপুরের জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ছিল শূন্য দশমিক ৮ ভাগ। এখন তা বেড়ে হয়েছে দেড় শতাংশের বেশি। জমির জৈব পদার্থের পরিমাণ ৫ শাতাংশে উন্নীত করতে হলে কৃষকদের আরও সচেতন হতে হবে। কৃষি বিভাগ চাষিদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর