পশু সম্পদ উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সারা দেশে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন খামার। শিক্ষিত বেকার তরুণরাও এগিয়ে আসছেন পশু পালনে। ঠিক তখন ভেজাল ও মানহীন খাদ্য তৈরি করে পশু সম্পদ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট বছরের পর বছর ভেজাল পশুখাদ্য তৈরি ও সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যে পশুখাদ্য তৈরি হয় তার প্রধান উপকরণগুলোই ভেজালে ভরপুর। বিশেষ করে ডিওআরবি ও রাইস ব্রানে মেশানো হচ্ছে খাবার অযোগ্য সামগ্রী ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল। এতে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট চক্র লাভবান হলেও ভেজাল খাদ্য খেয়ে গবাদি পশু, মাছ-মুরগি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নির্ধারিত দামে ভেজাল খাদ্য কিনে লোকসান গুনছেন খামারিরা। অনেকে পোলট্রি শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুর উপজেলার রনবীরবালা ঘাটপার থেকে শালফা-বথুয়াবাড়ী পর্যন্ত চার-পাঁচটি গুদামে পশুখাদ্য তৈরির উপাদান ডিওআরবি ও রাইস ব্রানে মেশানো হচ্ছে এক প্রকার সিরামিক্সের ধুলা ও ডলোচুন। যাতে খাবারের ওজন বাড়ে। পরে তা বস্তায় ভরে পশুখাদ্য তৈরির কারখানায় পাঠানো হয়। শেরুয়া বটতলা থেকে ব্র্যাক-বটতলা, তালতলা ফরেস্ট গেট হয়ে শেরুয়া বটতলা রোড, মির্জাপুর থেকে খানপুর রোড, মির্জাপুর থেকে রানীরহাট এবং ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন গুদামসহ সাউদিয়া পার্ক রোডের কয়েকটি গুদামে একই চিত্র দেখা যায়। জানা যায়, কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই শেরপুর উপজেলায় অর্ধশতাধিক ভেজাল পশুখাদ্য তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিনটি ভেজাল পশুখাদ্য তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। জরিমানাসহ কারখানাগুলো সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের পর দুই-তিন দিন বন্ধ রেখে আবার শুরু হয় কারখানাগুলোর কার্যক্রম। খামারি আতাউর রহমান ও আবদুল মান্নান জানান, ভেজাল ও মানহীন পশুখাদ্যে বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে। এমনকি নামিদামি কোম্পানির প্যাকেটেও লেভেল লাগিয়ে বিক্রি করায় কোনটি আসল আর কোনটি নকল চেনাই কঠিন। এসব ভেজাল খাদ্যের প্যাকেটে লেখা নির্ধারিত দামেই কিনছেন তারা। এসব খাদ্য খাওয়ানোর পর কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে খামারের প্রাণী। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। সোলায়মান আলী ও শফিকুল ইসলাম নামে দুই ব্যবসায়ী জানান, ডিওআরবি ও রাইস ব্রানের বাজার চড়া থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী ওই দুই ধরনের পণ্যে ভেজাল দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসার মাঠে টিকতে পারছি না। ফলে আমরাও ওই পথ অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রায়হান বলেন, এসব ভেজাল খাবারে পশু ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়। সেই সঙ্গে মানহীন পশুখাদ্য কিনে খামারিরা প্রতারিত হচ্ছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা বলেন, এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। অনেক বিষয় এখনো অজানা। ভেজাল কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শিরোনাম
- চতুর্থ ধাপে একাদশে ভর্তি: বাদ পড়াদের জন্য সুখবর
- নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
- সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
- স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
- এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
- ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
- চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
- নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
- শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
- নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
- যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
- কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
- চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
- সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
- ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
- বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্ম সপ্তাহে কলাপাড়ায় মানববন্ধন
- গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন
- সিদ্ধিরগঞ্জে আহতদের পুনর্বাসন, জুলাই যোদ্ধাকে দোকান উপহার