সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলোর মুখ দেখেনি রাঙামাটি কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়ক

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

আলোর মুখ দেখেনি রাঙামাটি কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়ক

রাঙামাটি-কাপ্তাই ও আসামবস্তি সড়ক উন্নয়ন কাজের অসন্তোষ চরমে। ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৬০ ভাগ। এখনো কাজ বাকি রয়েছে সিংহভাগ। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইডি বলছেন, মেয়াদ শেষ হলেও চলমান থাকবে সড়ক উন্নয়নের  কাজ। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর গাফিলতির কারণে আদৌ এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কি না তা নিয়ে রয়েছে নানা শঙ্কা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের পর বিধ্বস্ত হয় বিভিন্ন সড়ক। তার মধ্যে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাঙামাটি কাপ্তাই আসামবস্তির পর্যটনখ্যাত নান্দনিক ও আকর্ষণীয় সড়কটি। বন্ধ হয়ে যায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরপর ২০২০ সালে এ সড়ক উন্নয়নে ৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেন এলজিডি। একই বছরে জুনের ৯ তারিখ এ প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি ট্রেডার্স, মায়াধন চাকমা ও অনন্ত বিকাশ চাকমাকে তিনটি প্যাকেজ আকারে এ সড়ক উন্নয়নের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়। রাঙামাটি এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি-কাপ্তাই ও আসামবস্তি ২১৮ কিলোমিটার সড়কটি তিনটি প্যাকেজ আকারে ভাগ করা হয়। প্রথম প্যাকেজের ৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় প্যাকেজে ৫ কিলোমিটার ও তৃতীয় প্যাকেজে ৮ কিলোমিটার কাজ ভাগ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চারটি ব্রিজও। তবে গত দুই বছরে এ সড়কে কাজ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। তার মধ্যে প্রথম প্যাকেজের অধীনে ঠিকাদার কাজ করেছে ৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাত্র দুই কিলোমিটার । আর তৃতীয় প্যাকেজর আট কিলোমিটার সড়কের মধ্যে কাজ হয়েছে দুই কিলোমিটার। কিন্তু অদৃশ্য কারণে একেবারে থমকে রয়েছে দ্বিতীয় প্যাকেজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ। সর্বমোট চারটি ব্রিজসহ এ সড়কে কাজ সম্পন্ন হয়েছে মোট ৫.২ কিলোমিটার। অন্যদিকে রাঙামাটি-কাপ্তাই ও আসামবস্তি সড়ক উন্নয়নের কাজের মেয়াদও শেষ হচ্ছে এ বছর। তাই তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করতে চায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। রাঙামাটি কাপ্তাই ও আসামবস্তি সড়কের বিলাইছড়িপাড়ার স্বাক্ষ প্রথম চাকমা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে পড়ে আছে ভাঙাচোরা সড়কটি। আগে অনেক পর্যটক আসতেন বেড়াতে। কিন্তু সড়ক ভাঙা থাকার কারণে এখন তেমন পর্যটক আসেন না। তাই আমাদের ব্যবসাও আগের মতো জমে না। এ ছাড়া যাতায়াতের মারাত্মক ঝুঁকি বেড়েছে। ভাঙা সড়কে প্রায় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। একই অভিযোগ করেছেন এলাকার অং সুই মারমা। তিনি বলেন, সড়ক উন্নয়নের কাজ দেখছি দীর্ঘ বছর ধরে কিন্তু কাজের অগ্রগতি হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর