বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শীত-কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা বোরো আবাদ ব্যাহতের শঙ্কা

পাবনা প্রতিনিধি

শীত-কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা বোরো আবাদ ব্যাহতের শঙ্কা

পাবনার ঈশ্বরদীতে তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশায় নষ্ট বীজতলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাবনায় ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতে ইরি-বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মরে যাচ্ছে কিছু কিছু বীজতলার চারা। ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও লাভ হচ্ছে না। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে জমিতে চারা রোপণ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। পাবনায় ইরি-বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। ঈশ-রদীর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ১৭ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এ উপজেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ থেকে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। সঙ্গে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। যে কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশায় অধিকাংশ বীজতলা মরে যাচ্ছে। কোথাও বীজতলায় চারা গজায়নি। আবার কোথাও বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে চারা পচে যাচ্ছে। উপজেলার দাশুড়িয়া গ্রামের কৃষক সোলায়মান মিয়া বলেন, আট বিঘা জমিতে ধান আবাদের জন্য বীজতলা করেছিলাম। শীত ও কুয়াশায় অর্ধেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি অর্ধেকও হলুদ বর্ণ ধারণ করছে। আবার চারা তৈরি করতে হবে। মুলাডুলি এলাকার কৃষক কোরবান আলী আদম বলেন, ১০ বিঘা জমিতে ধান আবাদের জন্য বীজতলা করেছিলাম। পুরো বীজতলা কুয়াশায় নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা না করলে আবাদ করা সম্ভব না। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈশ-রদী উপজেলায় শীতের তীব্রতা সব সময় বেশি থাকে। শীত ও কুয়াশায় এখানকার কৃষকদের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজতলা রক্ষায় সার্বক্ষণিক কৃষকদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। ছত্রাকনাশক ও সার প্রয়োগের পাশাপাশি বীজতলায় পানি রাখা এবং পলিথিন ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা পলিথিন ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করছেন।

সর্বশেষ খবর