শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মানুষিক ভারসাম্যহীন দুই সন্তানের জননী বাবার বাড়ি মানুপাড়া গ্রাম থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজের ২০ দিন পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। মোছা. হেপি আকতার নয়াবিল ইউনিয়নের বাঁধলাকুড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী। ওই নারীকে খোঁজার পাশাপাশি নালিতাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার বাবা মো. হেকমত আলী। তাদের সংসারে দুটি মেয়ে রয়েছে।

পরিবার ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের মানুপাড়া গ্রামের হেকমত আলীর মেয়ে হেপি আকতারের সঙ্গে বাঁধলাকুড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে প্রথমে একটি মেয়ে সন্তান হয়। পরবর্তীতে আবার গর্ভবতী হলে হেপি আকতারের মানুষিক সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তখন বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী তাজুল ইসলাম। বাবার বাড়িতে হেপি আকতার আরও একটি মেয়ে সন্তানের মা হন। তিন বছর ধরে হেপি আকতার বাবার বাড়িতেই থাকেন। কিন্তু ৭ জানুয়ারি সকালে বাবার বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথায় যেন চলে যান। আর বাড়ি ফিরেনি।

হেপি আকতারের ভাই নুরে আলম লিখন বলেন, ১৬ দিন আগে আমার বোন আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, মানুষিক ভারসাম্যহীন মহিলাটি তিন বছর ধরে তার পিতার বাড়িতে থাকেন। হারিয়ে যাওয়ার খবরটি আমিও জেনেছি। সবাই তার খোঁজাখুঁজি করছে। নালিতাবাড়ী থানার এস আই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মহিলার পিতা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করছি।