শিরোনাম
রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

যানজট নিরসনে সাড়া মিলছে না

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

যানজট নিরসনে বগুড়া জেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাড়া দিচ্ছেন না ফুটপাত, ভাসমান ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র যানজটমুক্ত রাখতে ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য চারটি স্থানে অস্থায়ী বাজার সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই বাজারে ভাসমান ব্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য নিয়ে বসছেন না। ঘুরেফিরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সড়কের ওপরই ভিড় করেন তারা। জানা যায়, বগুড়া শহরে দিন দিন বাড়ছে মানুষের চাপ। জনবসতি বাড়লেও চলাচলের সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। এক শ্রেণির ক্ষুদ্র ও ভাসমান দোকানে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ সব জায়গায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনার কারণে শহরে যানজট লেগেই থাকে। এতে মানুষ ও যানবাহন চলাচল, মালামাল পরিবহন, জরুরি পণ্য পরিবহন, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সবাইকে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। ফুটপাত দখল, ভাসমান দোকান ছাড়া অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্যে নাকাল শহরবাসী। রমজান মাস ও ঈদ সামনে রেখে শহর যানজটমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসন থেকে নেওয়া হয় বিভিন্ন উদ্যোগ। এ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে ফুটপাথ, ভাসমান এবং হকারদের নিয়ে শহরের চারটি ফাঁকা স্থানে অস্থায়ীভাবে বাজার গড়ে তোলা। বাজারগুলো হলো বগুড়া শহরের শহীদ খোকন পার্ক, মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল মাঠ ও দত্তবাড়ি এলাকার মহিলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ এবং চেলোপাড়ার চাষিবাজারের খোলা স্থান। এ চার স্থানে শহরের সব ভাসমান, হকার, ফুটপাথ ব্যবসায়ী তাদের পণ্যসামগ্রী মেলে ধরবে। কোনোভাবেই তারা এসব স্থান ছেড়ে সড়কে ভিড় করতে পারবে না। একই সঙ্গে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে সব যানবাহন পার্কিং করতে পারবে। জেলা প্রশাসন থেকে অস্থায়ীভাবে এসব করা হলেও কাউকে কোনো চার্জ দিতে হবে না। চারটি বাজারের জন্য গড়ে দেওয়া হয়েছে স্টল।

এ ছাড়া ২৩ মার্চ থেকে বগুড়া শহরকে যানজট নিরসন ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে সচেতনমূলক প্রচারণা চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। তারপরও ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাড়া মিলছে না। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক দিন পর ঈদ বাজার জমে উঠবে। তখন কোনো হকারকে ফুটপাথে বসতে দেওয়া হবে না। এ জন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। পথচারী আজাহার আলী মণ্ডল জানান, জেলা শহরে এখন প্রচুর যানজট হয়। প্রসাশন যানজটমুক্ত করতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ভাল উদ্যোগ। এ উদ্যোগে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের সাড়া দিতে হবে। বগুড়া শহীদ খোকন পার্কের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত বাজারে তেমন বিক্রি হয় না। ফুটপাথের ক্রেতা এই বাজারে আসছে না। বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল জানান, যানজট নিরসনে শহরে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, শহর যানজটমুক্ত রাখতে যেসব বাজার ও পার্কিং স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সেসব স্থানে কাউকে কোনো টোল দিতে হবে না। এখন থেকে অস্থায়ী (ফুটপাথের দোকান) ব্যবসায়ীরা পার্কে বসবেন। কেউ রাস্তায় বসলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর