কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্গম পাহাড়কেন্দ্রিক রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ ছালেহ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির পর অস্ত্র ও গুলিসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব। আটকদের মধ্যে রয়েছেন ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান প্রকাশ ছালেহ উদ্দীন ও তার সহযোগী সোহেল ডাকাত। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। শনিবার (আজ) বেলা ১২টায় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করার কথা র্যাব ১৫-এর মিডিয়া সেলের। জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে র্যাবের একটি দল গহিন পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। তখন র্যাবকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। রাত ১১টা পর্যন্ত গোলাগুলির পর ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলছে, গত ছয় মাসে টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন। টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ সালমান, ছালেহ, আবু আলা ও নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যরা জড়িত। পাহাড়ের আশপাশের এলাকার কিছু মানুষ তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ছালেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ ছয়টির বেশি মামলা রয়েছে।
