দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে উৎপাদনে আবারও রেকর্ড গড়ে নতুন মাইল ফলক সৃষ্টি করেছে।
মধ্যপাড়া পাথর খনি পরিচালনা, উৎপাদন এবং উন্নয়নে জিটিসির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা চুক্তির পর জুলাই মাসে খনি থেকে মাসিক উৎপাদনের আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে পাথর উত্তোলনে আবারও একটি নয়া মাসিক রেকর্ড সৃষ্টি করল জিটিসি। খনিটি বর্তমানে সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক এবং জীবনমানের প্রভুত উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে জুলাই মাসে ১ লাখ ৩৯ হাজার টনের ওপরে মাসিক সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করে খনির বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। উৎপাদনে নয়া রেকর্ড সৃষ্টির বিষয়ে নিশ্চিত করে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কো.লি. (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু দাউদ মুহম্মদ ফরিদুজ্জামান জানান, রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের পাশাপাশি সব ধরনের পাথরের বিক্রি বেড়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ইতিপূর্বে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় লোকসানে চলা পাথর খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে ২০১৩ সালে জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)-এর সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, উৎপাদন এবং পরিচালনা চুক্তি হয়। জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সঙ্গে পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, অসহযোগিতাসহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জিটিসি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে টানা চার অর্থবছরে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। ফলশ্রুতিতে পাথর উত্তোলনে জিটিসির এ সফলতার পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসির সঙ্গে নতুন করে আবারও খনি কর্তৃপক্ষের ছয় বছরের জন্য চুক্তি হয়। দ্বিতীয় দফা চুক্তির প্রথম বছরে নির্ধারিত সময়ে বাৎসরিক উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পাথর উত্তোলন করে জিটিসি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।
