কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে এখনো পানি জমে রয়েছে। এদিকে চার দিন বন্ধ থাকার পর আরও এক দিন ছুটি বাড়ানো হয়েছে এ ইপিজেডে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে পানি জমে থাকায় শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে ২৪ আগস্ট বন্যার প্রভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। দুই দিনের জন্য তা বন্ধ করা হয়। তবে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আরও দুই দিন ছুটি বাড়ানো হয়। কুমিল্লা ইপিজেডের একটি সূত্রে জানা গেছে, শহরের কিছু অংশের পানি কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থা দিয়ে ইপিজেডে প্রবেশ করে। পরে তা বিমানবন্দর এলাকা দিয়ে বিজয়পুর খাল হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে চলে যায়। ডাকাতিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইপিজেড এলাকার বৃষ্টির পানি আর বেরোতে পারেনি। যে কারণে ইপিজেডের ভিতর কয়েক ফুট পানি জমে যায়। ওই পানি এখনো পুরোপুরি সরেনি। কুমিল্লা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, ‘বুধবার ইপিজেড খোলা হলে শ্রমিকরা আসতে থাকেন। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে এখনো পানি জমে আছে।
তাই ২০ শতাংশের মতো শ্রমিক কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এটার প্রভাব পড়ে অন্য শ্রমিকদের ওপর। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসে আরও এক দিন ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই। নিরাপত্তা জোরদার করে ইপিজেড খুলে দেব।’
কুমিল্লা অঞ্চলে বিনষ্ট ৮৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি : এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত কুমিল্লা অঞ্চলের তিন জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ১৬০ হেক্টর ফসলি জমি।
প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। বন্যাদুর্গতদের কষ্ট লাঘব করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি বিভাগ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সুবিধার্থে হাতে নেওয়া হয়েছে আমন ও রবি মৌসুমে সহায়তা কর্মসূচি।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিসপ্রধান ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, কৃষি উপদেষ্টা, কৃষি সচিব ও বিনার মহাপরিচালক বন্যাপরবর্তীতে দ্রুত পরিত্রাণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।