২১ বছরের তরুণ সাকিব। লেখাপড়ার পাশাপাশি শখ ছিল ক্রিকেট খেলার। এখন তার বাম চোখ ব্যান্ডেজে মোড়ানো। পরছেন সানগ্লাস। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এখন রয়েছেন চোখ হারানো শঙ্কায়। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা গত ১৮ জুলাই দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে মিছিল ও পাঁচমাথা মোড় পুলিশ বক্সের সামনে সমাবেশ করেন। সমন্বয়করা বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে মারাত্মক আহত হন সাকিব। তার মাথায় আটটি, বাম চোখে একটি ও নাকে একটি ছড়রা গুলি লেগেছে। বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে চোখের যন্ত্রণায় ছটফট করছেন বাবা হারা সাকিব।
সাকিব বলেন, ওই দিন পুলিশের ছোড়া প্রথম গুলির শিকার আমি। এরপর অন্যরা গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসা শেষ। মা ও ভাই ঋণ করে দেড় লাখ টাকা দিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা করেছেন। এখন সব শেষ। চোখটিও ভালো হলো না। কিছুই দেখতে পারছি না। আর হয়তো ক্রিকেট মাঠে বল হাতে ফিরতে পারব না। এমন কথায় বলেই কেঁদে ফেলেন তিনি। মা আছিয়া খাতুন বলেন, ছেলে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে আন্দোলনে গেছে। পরে জানতে পারি তার বাঁ চোখে গুলি লেগেছে। অনেক টাকা ঋণ করে চিকিৎসা করলাম। তাও সুস্থ হলো না। এখন কী করব?