গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পোড়াবাড়ী এলাকায় শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিন মাজারে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (সদর জোন) সহকারী কমিশনার মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ও সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফসিহ উদ্দিন হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার একজন শিক্ষক জানান, জুমার নামাজের পর আশপাশের কয়েকটি মসজিদের মুসল্লি এস্কেভেটর (ভেকু), লাঠিসোঁটা ও শাবল-রড নিয়ে মাজারে হামলা চালান। তারা মাজারের সীমানাপ্রাচীর, খাদেমের ঘর, মোমবাতি-আগরবাতি রাখার ঘর, পাকা মূল ভবন ও কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামালে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় মাজারের খাদেম এবং ভক্তরা পালিয়ে যান। তিনি আরও জানান, আশির দশকের দিকে পোড়াবাড়ী বাজারের দক্ষিণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে এ মাজার গড়ে ওঠে। মাজার চত্বরে একটি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা ছাড়াও ফসিহ উদ্দিন দাখিল মাদরাসা ও মসজিদ রয়েছে। ফসিহ উদ্দিনের ভক্তদের দানের টাকায় চলে এসব মসজিদ-মাদরাসা। এক মুসল্লি জানান, মাজারের শিরক, বেদাত কার্যক্রম, গাঁজাসেবনসহ নানা অনৈসলামিক কাজকর্ম হয়। তাই এ মাজার গুঁড়িয়ে দেয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (সদর জোন) সহকারী কমিশনার মাকসুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুরে আরশেদ পাগলার মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয় কয়েক শ মুসল্লি উপজেলার বিলাশপুরে সফি কাজির মোড় এলাকায় এই হামলা চালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মাজারটিতে হামলা চালায়। এ সময় তারা মাজারের ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভেঙে বাইরে ছুড়ে ফেলে। পরে মাজারের ভিতরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে দেখা হবে।