সোনাহাট বাংলাদেশের ১৮তম স্থলবন্দর। এর অবস্থান কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায়। ভারত-বাংলাদেশ আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সোনাহাট স্থলবন্দর। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে আমদানি হয় কয়লা ও পাথর। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ঝুট, কটন, সিনথেটিকসহ নানা সামগ্রী। প্রতি বছর সরকারের রাজস্ব এলেও দীর্ঘ এক যুগেও বন্দরে চালু হয়নি ইমিগ্রেশন। শুধু ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা না থাকায় সম্ভাবনাময় বন্দরটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের আশানুরূপ প্রসার ঘটেনি। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, সোনাহাট বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। দুই দেশের মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত হলেই ইমিগ্রেশন চালু হবে। সব প্রস্তুতি আমাদের আছে। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে সোনাহাট স্থলবন্দর। শুরু থেকেই রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনাময় হিসেবে পরিচিতি লাভ করে একটি। গুরুত্ব অনুযায়ী অবকাঠামো নির্মাণ হলেও শুধু ইমিগ্রেশনের অভাবে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা যেমন একদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অপরদিকে সরকার আরও বেশি রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিগগিরই এ বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ ব?্যবসায়ীরা। বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের সোনাহাট স্থলবন্দর চালু হলেও ২০১৬ সালে ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় অবকাঠামো। বর্তমানে এই বন্দরে ৬০০ টন ধারণক্ষমতার একটি ওয়্যারহাউস, ৯৬ হাজার বর্গফুটের পার্কিং ইয়ার্ড, ৯৫ হাজার বর্গফুটের ওপেন স্টকইয়ার্ড, শ্রমিকদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার, একটি প্রশাসনিক ভবন ও দ্বিতল ডরমেটরি ভবন রয়েছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০টি পণ্য আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ ব্যতিত সব পণ্য রপ্তানির অনুমতি রয়েছে। আমদানি পণ্যগুলো হচ্ছে- পাথর, কয়লা, তাজা ফল, ভুট্টা, গম, চাল, ডাল, আদা, পিঁয়াজ ও রসুন। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে- ঝুট, ওয়েস্ট কটন, সিনথেটিক নেট, গার্মেন্টস পণ্য, আকিজের ফ্লাই উড ও প্লাস্টিকের পণ্যসামগ্রী। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। মাঝেমধ্যেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঝামেলায় পড়তে হয়। ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ও মিজানুর রহমান বলেন, এই বন্দর চালুর পর অনেক আশা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরাও এখানে আসা শুরু করেন। ভারতীয় প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে এলসি করেও কয়লা ও পাথরের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ইমিগ্রেশন না থাকায় ৪৫০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করতে হয়। অনেক সময় জরুরি ব্যবসায়িক বার্তা ও লেনদেনে হয় বিলম্ব।
শিরোনাম
- জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
- লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
- চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
- প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
- জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
- দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
- দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
- তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
- গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
- দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
- মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
- ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
- প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে প্রতারণা এড়াতে তিতাসের সতর্কবার্তা
- শিল্পীদের মেধাসম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : শিল্প উপদেষ্টা
- সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- ১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
- রাজধানীর উত্তরায় ঢাবির বাসে হামলা, গ্রেফতার ৫
এক যুগেও চালু হয়নি ইমিগ্রেশন
খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'
২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়