কুষ্টিয়ায় ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে গতকাল ঘণ্টাব্যাপী কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেন কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান, ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক ও বাইপাস সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। পরে বিকাল ৪টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমাধানের আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে চলে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার ঘোড়াঘাট এলাকায় ট্রাক টার্মিনালে ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী এলাকায় মাহাতাপ শেখের ছেলে খোয়াজ শেখ, চরমিলপাড়া এলাকার বিষু প্রামাণিকের ছেলে শহিদুল প্রামাণিক, উত্তর মিলপাড়ার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে শাবু। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে একটি গ্রুপ বড় বাজার টার্মিনালের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ ও চাঁদাবাজির পাঁয়তারা করে আসছে। এসবের প্রতিবাদ করার কারণে তারা আমাদের মারধর করেছে। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
একই সঙ্গে আমাদের টার্মিনাল চাঁদাবাজ ও দখলবাজ মুক্ত করতে হবে।
এদিকে ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয়রা পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, কুষ্টিয়া শহরের ঘোড়াঘাট এলাকায় মদপান করে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করেন ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিন শ্রমিককে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা কোনো নারীকে উত্ত্যক্ত করিনি। অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান, ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আরজুল ইসলাম তারেক বলেন, আমাদের ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের মারধর করেছেন তারা। এর প্রতিবাদে আমরা সড়ক অবরোধ করেছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।