চাঁদপুরে ভরা মৌসুমে আড়ৎগুলোতে লোকাল ইলিশ সরবরাহ খুব কম হচ্ছে। ফলে সংকটে পড়েছে মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
জেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্য মতে, চাঁদপুরে ছোট বড় দেড় শতাধিক মৎস্য আড়ৎ রয়েছে। পদ্মা- মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযান শেষে পয়লা মে থেকে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে নামে। নদীতে বৃষ্টিপাত ও পানি প্রবাহ কম থাকায় জেলেদের জালে কাক্সিক্ষত ইলিশ ধরা পড়ছে না। চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আড়তে কাঙ্খিত ইলিশ নাই।
মৎস্য শ্রমিক মফিজ বেপারী ও জাহাঙ্গীর জানান, জৈষ্ঠ্য, আষাঢ, শ্রাবন ও ভাদ্র মাসে কাজের চাপে ভাত খাওয়ার সুযোগ পেতাম না। আমাদের ভালো আয় রোজগার হতো। ২/৩ বছর ধরে তেমন একটা হচ্ছে না। সিজনে নদীতে তেমন মাছ নাই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে অসুবিধা হয়।
ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন ও সম্রাট বেপারী জানান, ভরা মৌসুমে পদ্মা-মেঘনা নদীতে মাছ নাই। শুধু মাছ ঘাটের ব্যবসায়ীরা নয়, লেবার, জেলে কারো অবস্থা ভালো নেই। অন্য বছর এ সময়ে চাঁদপুর মাছ ঘাটে ৭/৮শ’ মন ইলিশের সরবরাহ হলেও, এবার হচ্ছে এক থেকে দেড়শ’ মন। তার মধ্যে নামার ইলিশই বেশী।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক পিয়াংকা সাহা বলেন, কয়েকদিন দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারনে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে পারেনি। মাছের কিছুটা ঘাটতি হয়েছিল। আমরা আশাবাদী সামুদ্রিক ইলিশ ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে। পদ্মা- মেঘনা নদীর ইলিশও ধারাবাহিক বাড়বে।