চুয়াডাঙ্গায় এক দশকে ৫ হাজার ২৬১ হেক্টর কৃষিজমি কমে গেছে। এসব জমিতে গড়ে উঠেছে পাকা দালান, ইটভাটা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বেশির ভাগ কৃষিজমিতে বছরে তিন থেকে চার ফসল উৎপাদন হয়। যে কারণে এ জেলায় দিনদিন কৃষিনির্ভরতাও বাড়ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গায় কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৯৯ হাজার ৪৮১ হেক্টর। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষিজমির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৯৮ হাজার ৭৪০ হেক্টর। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৯৮ হাজার ৪০০ হেক্টর, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৮ হাজার ২৭৪ হেক্টর, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৭ হাজার ৭৯ হেক্টর, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯৬ হাজার ৩৫৩ হেক্টর, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯৫ হাজার ৬৩৯ হেক্টর, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৪ হাজার ৯২৭ হেক্টর এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দাঁড়ায় ৯৪ হাজার ২২০ হেক্টর। তথ্যানুযায়ী এক দশকে প্রতি বছরই এ জেলায় গড়ে ৫২৬ হেক্টর কৃষিজমি হারিয়ে গেছে। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে কৃষক মশিউর রহমান বলেন, আগে দিগন্তজোড়া মাঠ থাকলেও এখন নানান কারণে তা ছোট হয়ে আসছে। বংশ পরম্পরায় খণ্ড খণ্ড হচ্ছে কৃষিজমি। কৃষিজমিতে বাড়িঘর ও কলকারখানা তৈরি হচ্ছে। সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শরীফ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছরই কৃষিজমিতে নতুন নতুন ইটভাটা গড়ে উঠছে। তৈরি হচ্ছে কলকারখানা ও বড় বড় দালান। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, প্রায়ই কৃষিজমিতে কলকারখানা ও ইটভাটা তৈরির খবর আসে। আমরা কৃষকদের সচেতন করছি। তারা যাতে প্রলোভনে পড়ে কৃষিজমি বিক্রি না করে।