পাহাড়ে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শূন্য থেকে চার মাস বয়সি শিশু বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, মারাও যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন- আক্রান্ত শিশুকে শেষ পর্যায়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। ফলে আর কিছুই করার থাকে না। চলতি মাসের ২০ দিনে ১২ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। জেলা সদরে বর্তমানে ১০০ শয্যার বেডে রোগী ভর্তি আছে ২১০ জন। ওই হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের সিট সংখ্যা ১৫। গতকাল পর্যন্ত ভর্তি ছিল ৬০ শিশু। প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ রোগী ভর্তি থাকে। এর বেশির ভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু। সিট না থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বেশির ভাগ শিশুকে। হাসপাতালে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা ডা: ওমর ফারুক জানান, দুর্গম এলাকা থেকে শিশুরা নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হয়। রোগীর অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে শেষ পর্যায়ে এসে আক্রান্ত শিশুকে হাসপাতালে এসে ভর্তি করা হয়। ফলে আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। বিশেষ করে শূন্য থেকে চার মাস বয়সি শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, মারাও যাচ্ছে। একদিকে সিট সংকট। অন্যদিকে চিকিৎসক সংকট। এ দুইয়ের যাঁতাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালের নার্স, শিউলি খাতুন জানান, গতকাল পর্যন্ত ভর্তি শিশুর সংখ্যা ৬০। এর বেশির ভাগই নিউমোনিয়া আক্রান্ত। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাক্তার রিপেল বাপ্পি চাকমা জানান, ২০ দিনে ১২ শিশু নিমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। রোগীর এত চাপ যে সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও ১০০ শয্যার বেড ও জনবল দিয়েই চলছে। নতুন ১০ তলা ভবনের কাজ গত কয়েক বছরেও শেষ না হওয়ায় আমরা রোগীদের সুষ্ঠু সেবা দিতে পারছি না। ১০০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০০ রোগী ভর্তি থাকে। বেডে জায়গা দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে রোগীদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে।