ঝিনাইদহে অপমানের জ্বালা সই না পেরে ১০ শ্রেণির ছাত্রী সিমা খাতুন(১৬) গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের চরখাজুরা গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে মেয়েটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ৪ মাস আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুহুল মেম্বর ওই ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই মধ্যে মেয়েটি আত্মসত্তা হয়ে পড়ে। ছাত্রীর পরিবার রুহুল মেম্বারকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্ত রুহুল মেম্বার সবকিছু অস্বীকার করে। সোমবার ঘটনাটি নিয়ে ছাত্রীর বাড়িতে পিতা-মাতার মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অপমানের জ্বালা সইতে না পেয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। ওই মেম্বার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে থানায় কেউ অভিযোগ বা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এমনকি ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে থানায় অভিযোগ না দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।
এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সামছুল জোহা জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এবং আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে নানা বিতর্ক ও সন্দেহ হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসলেই বুঝা যাবে মেয়েটি অন্তসত্ত্বা ছিল কি না।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন