দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৪ বছর। অথচ এবারই প্রথম বিজয় দিবস পালিত হলো কৃষ্ণনগরে। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ধামাই চা-বাগান এলাকার একটি গ্রামের নাম কৃষ্ণনগর। গ্রামের প্রায় সবাই চা-শ্রমিক। তেমনভাবে ছড়ায়নি শিক্ষার আলো। অভাব সচেতনতারও। তাই স্বাধীনতার পর গ্রামটিতে কখনোই পালিত হয়নি বিজয়োৎসব।
স্বাধীনতার ৪৪ বছর প্রথমবারের মতো কৃষ্ণনগরে পালিত হলো বিজয় দিবস। স্থানীয় সামাজিক সংগঠন 'গ্রাম উন্নয়ন কার্যক্রম' (গ্রাউক)- এর পরিচালক অশোক রঞ্জন পালের উদ্যোগে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে এবার কৃষ্ণনগর গ্রামে বর্নাঢ্য আয়োজনে পালন করা হয়েছে বিজয় দিবস। দিনব্যাপী আয়োজনে দিবসটির প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিশাল বিজয় র্যালি শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরর্ণী সভায় গ্রাউকের পরিচালক অশোক রঞ্জন পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুলেশ চন্দ্র চন্দ মন্টু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অরবিন্দ সেন গুপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা মাখন রুদ্রপাল, এমইউ শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক খোকন রুদ্রপাল, জুড়ী মডেল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে উপস্থিত সবার মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ