পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভাল পাওয়ার আশায় কৃষকরা ক্ষেতের ফসল আগে ভাগে বিক্রি শুরু করেছেন। উন্নতজাতের তরমুজের বীজ বপন করায় বিগত বছরের চেয়ে এ বছর তরমুজের ফলন অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কৃষকদের কাছে তরমুজ ও রবিশস্য অর্থকরি ফষল হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, ধুলাসার, লতাচাপলী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা তরমুজ চাষ করেছে। এ বছর ১২শ' ১১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার ধানখালী ও চম্পাপুর ইউনিয়নে কৃষকরা বেশি তরমুজ চাষ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় এ উপকূলীয় এলাকায় লবনাক্ততার কারনে তরমুজসহ রবি শস্য উৎপাদন হতো না। ধীরে ধীরে লবনাক্ততা কমে যাওয়ায় কৃষকরা তরমুজসহ রবিশস্য উৎপাদন শুরু করে।
সরেজমিন কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, উন্নত জাতের বীজ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অধিক মূল্য হওয়ার কারনে প্রথম পর্যায়ে কৃষকদের হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে তরমুজের দাম ভাল পাওয়ায় ওইসব কৃষকদের কিছুটা দুঃচিন্তা কমে গেছে।
উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের তরমুজ চাষী নাসির প্যাদা জানান, তিনি ১৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এছাড়া একই এলাকার শহিদুল ইসলাম ৭ বিঘা, নূর জামাল ২০ বিঘা, প্রদিপ বিশ্বাস, নির্মল হাওলাদার, জাফর মোল্লা বেশ কিছু জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তাদের প্রত্যেকের ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে জাফর মোল্লা ১০ বিঘা জমির তরমুজ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, কৃষকদের ক্ষেতের মিঠা পানির চাহিদা পূরণ, অতিবৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর তরমুজের ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়া ক্ষেতের ফলন উন্নত করার লক্ষ্যে ওই সকল চাষীদের বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়ে আসছি।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ