শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১২ নভেম্বর শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও স্থানীয়ভাবে ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসা করার আশ্বাসের কারণে ঘটনার তিন দিন পর ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষিতা কিশোরী উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের বাগিচাপুর গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর রিয়াজ উদ্দিনের কন্যা। সে নিচপাড়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত প্রতিবেশি আব্দুল মতিউর রহমান মাস্টারের ছেলে ও নাজমুল স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র জহুরুল ইসলাম।
জানা গেছে, দুই বছর আগে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে জহুরুল। এ সম্পর্কের সূত্র ধরেই ১২ নভেম্বর শনিবার রাত নয়টার দিকে ওই কিশোরীকে প্রেমিক জহুরুল ফুসলিয়ে ঘর থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে ধানক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে কিশোরীকে ধানক্ষেতে ফেলেই পালিয়ে যায়।
কিন্তু নিজের ইজ্জত হারিয়ে ভয়ে বাড়ি না ফিরে ধানক্ষেতেই রাত কাটিয়ে দেয় ওই কিশোরী। ভোরে ঘটনাস্থলের অদূরে একটি পরিত্যক্ত ও বিধ্বস্ত মাটির দালান ঘরের ভেতরে থাকা কাঠের সিন্দুকে লুকিয়ে থাকে ওই কিশোরী।
এদিকে, বাড়ির লোকজন শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কিশোরীকে খুঁজে কোথাও পাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে বিকেল চারটার দিকে সায়মা নামের প্রতিবেশি এক শিশু কাঠের ওই সিন্দুকের ভিতর নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে উকি দিয়ে ওই কিশোরীর সন্ধান পায়। পরে খবর পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন।
এদিকে ১৪ নভেম্বর সোমবার স্থানীয় মাতব্বররা বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিশে বসে উভয়ের মধ্যে বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। এতে ছেলে পক্ষ আপত্তি করায় ওই সালিশ ভেঙে যায়। ফলে ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার প্রতারিত ধর্ষিতা ওই কিশোরীর মা মাছুমা বেগম বাদি হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ