বোচাগঞ্জের টাঙ্গন নদী ঘেঁষা বেলে মাটিতে এক সময় কৃষকরা কোন ফসলই আবাদ করতে পারতেন না। অথচ কৃষি প্রযুক্তির বদৌলতে সেই জমিতে এখন একসাথে দুইটি ফসল আবাদ করে বড় সুলতানপুর গ্রামের কৃষকরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
স্থানীয় সাজ্জাদ হোসেন জানায়, বোচাগঞ্জের বড়সুলতানপুর, সেনিহারি, টেনা, ছোট সুলতানপুর, নাফানগর, ভাদুয়ারী গ্রামের অসংখ্য কৃষক বাগানের পাশাপাশি সাথী ফসল ফলিয়ে আজ কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী একই জমিতে ধান, গম, ভুট্টার পাশাপাশি আম ও লিচুর বাগান করার প্রতি ঝুঁকছে বোচাগঞ্জের কৃষকরা।
বড় সুলতানপুর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম জানান, ৫ একর আম বাগান ও ৩ একর লিচু বাগানে তিনি সাথী ফসল হিসেবে আমন ধান লাগিয়েছেন। ফলনও হয়েছে ভাল। যা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।
বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি আমন মৌসুমে বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বড় সুলতানপুরসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৪শত হেক্টর আম ও লিচু বাগানে সাথী ফসল হিসেবে আমন ধান আবাদ করেছে এই এলাকার কৃষকরা।
গত জুন ও জুলাই মাসে কৃষকেরা ওই জমির আম ও লিচু বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পর পরই তারা সাথী ফসল হিসেবে আমন ধান আবাদ শুরু করেন। ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকরা অল্প সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতেই ধান আবাদের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম জানান, আম, লিচু বাগানে সাথী ফসল হিসেবে অনেকে ধান আবাদ করে লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ-১৩