মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চলমান আন্দোলনের মাঝেই দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে ২ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। পল্লী বিদুৎ কর্মকর্তাদের রক্তচক্ষু ও হুমকী-ধমকী উপেক্ষা করে বুধবার ১০ম দিনে আন্দোলরত শ্রমিকেরা সমিতি কার্যালয়ের বাইরের রাস্তায় কর্মবিরতি পালন করে। এদিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় ভোগান্তির আশংকায় রয়েছেন গ্রাহকরা ।
মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি পিয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, চলমান এ আন্দোলনের মাঝেই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দিনাজপুর-১’র সাব-জোন অফিস কাহারোলের সাব-জোনের মিটার রিডার মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও মোঃ মহসিনকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং ১৬ নভেম্বর আমাদের সমিতির অভ্যন্তরে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে।
তারা জানান, অনির্নিষ্টকালের কর্মবিরতির ১০ম দিন হলেও সমিতি কর্তৃপক্ষ কিংবা সরকারের টনক নড়ছেনা। কিন্তু ঐক্য পরিষদের আয়োজনে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
কাহারোল উপজেলা সদরের বিদ্যুৎ গ্রাহক মোঃ রশিদুল ইসলাম, দ্বীপ নগরের আল-আমিন, বিরলের আব্দুল কুদ্দুস এবং বীরগঞ্জের মোজাম্মেল হোসেন জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রমিকদের আন্দোলনে এখনো বিদুৎ বিল পাননি।
দিনাজপুর পল্লী বিদুৎ সমিতি-জেনারেল ম্যানেজার কাজী মোহাম্মদ আলী জানান, সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরেও শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে থাকায় তারা কাজে যোগদান করেনি আর এ বিষয়ে আমরা স্থানীয়ভাবে তো কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারিনা। তবে ছাঁটাই করা ২ জন শ্রমিকের আবারো নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে চুক্তি করার প্রক্রিয়ায় চলছে।
উল্লেখ্য, নানা কর্মসূচি আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিনাজপুর জেলা সদরের উত্তর গোবিন্দপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কার্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রতিদিন সমিতির কাহারোল, বিরল, বীরগঞ্জ, রানীরবন্দর, চিরিরবন্দর ও সদরের ১৬৫ জন শ্রমিক সারাদেশের অন্যান্য পল্লী বিদুৎ সমিতির শ্রমিকদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ এবং চাকুরি স্থায়ীকরনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-২০