গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে এক যুবক হত্যার দায়ে দুইজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে একই সঙ্গে তাদের উভয়কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এই আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রাসেল মিয়া ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার তারাটি চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাবুলের ছেলে এবং মো. মুন্না মিয়া মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার বিছামনি গাংপাড় গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।
অন্য একটি ধারায় (৩৯২/৩৪) উভয়কে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
অপর একটি ধারায় (৩০৭/৩৪) উভয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
গাজীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট হারিছউদ্দিন আহম্মদ জানান, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ রাত ৯টার দিকে মমিন, মমিনের ভাগিনা আবু সাঈদ ও অপর যুবক হাসান মাহমুদ চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে চড়ে। ট্রেনটি টঙ্গী রেলস্টেশন অতিক্রম করার পর ছাদে অবস্থান করা ৪/৫ জন যুবক তাদেরকে মারপিট করে। সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ট্রেনের ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে মমিন ট্রেন থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং তার ভাগিনা আবু সাঈদ ও অপর যুবক হাসান মাহমুদ গুরুতর আহত হন। পরদিন সকাল ৯টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এই ঘটনায় নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এটি এস আই মো: মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার এস আই আদম আলী ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই মো: রাসেল মিয়া ও মো: মুন্না মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/১৬ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-২২